মিঠুন ভট্টাচার্য: চিন্তন নিউজ:১৬ই মে:– শিলিগুড়ি পৌরকর্পোরেশন এর প্রতি বঞ্চনার বিষয় গতকাল আমাদের সংবাদ মাধ্যমে খবর সম্প্রচার হয়েছিল , এবং আমাদের খবর কতটা সঠিক সেটা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত।
সারা রাজ্যে বহু পুরসভা ও পৌর কর্পোরেশনের মেয়াদ ইতিমধ্যেই শেষ বা শেষের পথে , পৌর আইন অনুযায়ী মেয়াদ শেষের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে পরবর্তী পৌরবোর্ড চালু করতে হয় , কিন্তু কোভিড-19 পরিস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা সম্ভব নয় তাই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন পৌর বোর্ডের মাথায় সেই শহরের চেয়ারম্যান কিংবা মেয়রকে অন্তর্বর্তী চেয়ারম্যান করে বোর্ড চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে।
কিন্তু শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হয়নি , শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের অভিযোগ অনুযায়ী শিলিগুড়ি পৌরবোর্ড এর ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার বিমাতৃসুলভ আচরণ করেছেন – প্রবঞ্চনা করেছেন , গতকাল নিজস্ব বিবৃতিতে শিলিগুড়ির বিদায়ী মেয়র অশোক নারায়ণ ভট্টাচার্য দাবি করেছেন অশোক ভট্টাচার্যকে চেয়ারম্যান করে এবং ডেপুটি মেয়র সহ ৫ জন মেয়র পারিষদদের সাথে বিরোধী ৫ তৃণমূল কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের অন্তবর্তীকালীন প্রশাসক মন্ডলীর বোর্ড তৈরি ক্ষেত্রে।
যেখানে সারা রাজ্যের সমস্ত পৌরবোর্ড এর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যে যেখানে শাসকদল তাদেরকেই প্রশাসক মন্ডলী পরিচালনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেখানে কোন যুক্তিতে শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে বিরোধী কাউন্সিলরদের বোর্ড মেম্বার করা হয়েছে সেটা নিয়ে শহরে নানান রকম জল্পনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে , এ বিষয়ে শিলিগুড়ি শহরের এক দাপুটে তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসা করা হ’লে তিনি দাবি করেন উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক রঙ দেখা উচিত নয় সেজন্য সৌজন্যতা মূলকভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং শাসক দলকে একসাথে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে অশোক ভট্টাচার্য দায়িত্ব এরিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন , যদিও প্রাক্তন ছাত্রনেতা শ্রী পার্থ মৈত্র এই বক্তব্যকে খারিজ করে দিয়ে জানিয়েছেন যদি বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের অন্তর্বর্তী বোর্ড সদস্য করা সৌজন্যতা হয়ে থাকে তবে কোন কারনে রাজ্যের অন্যান্য পুরো বোর্ডের ক্ষেত্রে এই সৌজন্যে দেখানো হয়নি কিংবা শিলিগুড়ি শহরের বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি কিংবা কংগ্রেস কাউন্সিলরদের বোর্ড মেম্বার করা হয়নি এর জবাবদিহি তৃণমূল কংগ্রেসকেই করতে হবে। এবং তৃণমূল কংগ্রেস যদি মনে করে জবাব না দিয়ে সংকীর্ণ রাজনীতি করে তারা চুপ করে বসে থাকবে, তাহলে উপযুক্ত জবাব শিলিগুড়ির জনগণ দেবে। যেভাবে বিগত দিনে দিয়েছে।, শিলিগুড়ির মানুষ অত্যন্ত রাজনৈতিক সচেতন যার দরুন এই পর্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূল কংগ্রেস শিলিগুড়িতে নিজের মাটি অর্জন করতে পারেনি, এবং আগামীতেও পারবেনা। যেখানে রাজ্যের সমস্ত জায়গায় রাজনৈতিক হিংসা , বোমা – বারুদ – বন্দুক – গুলি নিয়ে রাজনীতি চলছে অহরহ সেখানে শিলিগুড়িতে বামেদের শক্ত ঘাঁটি থাকায় এখানে বোমা বন্দুকের রাজনীতি শুরু হয়নি এর কৃতিত্ব একমাত্র বামপন্থীদের এবং শিলিগুড়ির মানুষ বামপন্থীদের সঙ্গে আছে এবং আগামী দিনেও থাকবে।