মল্লিকা গাঙ্গুলী: চিন্তন নিউজ:২০শে জুলাই:- উত্তরপ্রদেশের মথুরার বিজেপি পরিচালিত পৌর নিগমের কাউন্সিলরদের মধ্যে বহুল চর্চিত কাউন্সিলর দম্পতি দীপিকা রানী সিং ও তাঁর স্বামী পুষ্পেন্দ্র সিং। মথুরার ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দীপিকা সিং এবং তাঁর স্বামী একটি বৈঠক চলাকালীন মথুরার পৌর কমিশনার ও তাঁর সচিবকে যারপরনাই হেনস্থা ও অপমান করার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩২৩, ৩৩২, ৩৫৩, এবং ৫০৪ ধারায় মামলা দায়ের করে।
ঘটনার সূত্রপাত ১৭ই জুলাই। মথুরা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের উন্নয়ন খাতে বাজেট পেশ করার আগে স্থানীয় বিধায়ক মুকেশ আর্যবন্ধু সমস্ত কাউন্সিলরদের নিয়ে এক সভার আয়োজন করেন। ঐ সভা চলাকালীনই কাউন্সিলর দীপিকা সিং পুর কমিশনারের সঙ্গে বিতর্ক শুরু করেন। শ্রীমতী সিং কমিশনার ও তার সহকর্মীকে অপমান জনক কথা বলেন এবং আচমকাই কমিশনারের ব্যক্তিগত সচিবকে নিজের পায়ের জুতো খুলে মারেন। বিধায়কের বৈঠকে এ হেন ঘটনা অত্যন্ত নিন্দাজনক।
পরে জবাবদেহীর সময় আত্মপক্ষ সমর্থন করে দীপিকা সিং বলেন- তিনি তাঁর ওয়ার্ডের কি কি সমস্যা আছে এ যাবৎ কি কি কাজ করেছেন এবং আর কি কি কাজ করতে চান তার একটি তালিকা ঐ অফিসারকে প্রস্তুত করতে বলায় তিনি তাকে ধাক্কা দিয়ে বসতে বলেন, আর তাতেই তিনি মেজাজ হারিয়ে ফেলেন বলে জানান। অপরদিকে পৌর কমিশনার রবীন্দ্র কুমার জানান- বৈঠক শুরুর আগে থেকেই ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও তাঁর স্বামী গন্ডগোল শুরু করেন। কমিশনারের পি এ তাকে শান্ত করতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে অভব্য আচরণ করেন, এমনকি অফিসারকে জুতো খুলে মারেন। এই অসম্মানের কারনে তাঁরা বৈঠক বয়কট করে সভা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ঐ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এফ আই আর করা হয়েছে এবং এই ঘটনায় জড়িতদের সদস্য পদ বাতিল করার অনুরোধ ও জানানো হয়েছে।
বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশের শাসক দলের ঔদ্ধত্য নতুন কথা নয়। তবে জননেতা এবং প্রশাসনিক কর্তাদের মধ্যে হাতাহাতি একটি সরকারের ব্যর্থতা প্রমান করে। আসলে অর্থ সংক্রান্ত আলোচনায় নেতা নেত্রী দের স্বচ্ছতার অভাবেই এই ধরনের অবাঞ্ছিত ঘটনার প্রকাশ বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত। এখন ঐ বিজেপি কাউন্সিলরের অশালীন আচরণের বিরুদ্ধে উচ্চ নেতৃত্ব কি পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার বিষয়।