মীরা দাস, চিন্তন নিউজ, ২ জুলাই: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশ এবং সরাষ্ট্র মন্ত্রকের চিঠিতেও কোন কাজ হচ্ছে না। অসমে ২০ লক্ষ গোর্খাদের বাস এবং তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে। তার মধ্যে ১ লক্ষ গোর্খা বাদ পড়েছেন এন আর সি খসড়া থেকে। এই নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে গুয়াহাটিতে। প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে গোর্খা পরিষদ ও গোর্খা ছাত্র সংগঠন।
অসম কে বিদেশী মুক্ত করতে যে অসম আন্দোলন শুরু হয়েছিল, যার সূত্রপাত হয় অসম চুক্তি এখনকার এই এন.আর .সি. কে নিয়ে।এই আন্দোলনের মহিলা শহীদ বৈজয়ন্তী দেবী এবং এদের পরিবারের নাম প্রকাশিত অতিরি ক্ত তালিকা থেকে বাদ হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন প্রয়াত বৈজয়ন্তী দেবীর বাবা অমর উপাধ্যায়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারতীয় গোর্খা পরিষদ এবং সরাষ্ট্র মন্ত্রক অক্টোবরে অসম সরকারকে চিঠি দিয়ে জানায়, কোন গোর্খার নাগরিকত্ব নিয়ে সন্দেহ করে বিদেশী ট্রাইবুনালে মামলা পাঠানো চলবে না।কোন গোর্খাকে ডিটেনশন সেন্টারে রাখা চলবে না।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ রাজ্য সরকার ও এন.আর .সি. কোঅর্ডিনেটরকে ষ্পষ্ট নির্দেশ দেন গোর্খারা দেশের সম্পদ। কোন গোর্খা যেন এন.আর.সি র বাইরে না থাকেন। এরপরেও অসম সরকার গোর্খাদের নামে ডি- ভোটার তালিকায় নাম জুড়েছে। তাদের নাম এন আর সি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। গোর্খা পরিষদের অসম প্রদেশের সাধারন সম্পাদক প্রকাশ দহলের দাবি এটা পুরোপুরি অন্যায়। কেন্দ্রিয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে গেজেট নোটিফিকেশন করা উচিৎ। ছাত্র সংগঠনের সভাপতি প্রেম তামাং দাবি করেন চুড়ান্ত এন আর সি প্রকাশের আগেই গোর্খাদের নাগরিকত্বের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সমাধানের প্রয়োজন আছে।