রাজ্য

গেটম্যানের তৎপরতায় বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল পদাতিক এক্সপ্রেস।


দীপশুভ্র সান্যাল: চিন্তন নিউজ: ৬ ই জুলাই,২০২২:– জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনের গেটম্যানের তৎপরতায় বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল পদাতিক এক্সপ্রেস।মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে ঢুকছিল শিয়ালদহ-আলিপুরদুয়ার গামী পদাতিক এক্সপ্রেস। বিপদ বুঝে ছুটে এলেন স্টেশন মাস্টার সহ অন্যান্য রেলওয়ে আধিকারিকরা। যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হল ট্রেনের এস-১ কোচ থেকে। তোমাকে তো যাত্রীরা পুরোপুরি করে ট্রেন থেকে নেমে দেখেন তখনও ওই কোচের চাকা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।

এদিন ট্রেনটি জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে ঢোকার মুখে ১৭ নম্বর গেটের গেটম্যান তিলক দাস দেখাতে পান শিয়ালদহ থেকে আলিপুরদুয়ার গামী পদাতিক এক্সপ্রেসের এস ১ কোচের নীচে চাকা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি রোড সিগন্যাল দেখান ট্রেনের গার্ডকে। পাশাপাশি তড়িঘড়ি বিষয়টি জানান হয় স্টেশন মাস্টারকে।

ওই খবর পাওয়ার পরই স্টেশনে ছুটে আসেন স্টেশন মাস্টার সুব্রত মণ্ডল ও অন্যান্য আধিকারিকরা। তাঁরা এসে এস-১ কামরা থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেন। এরপর রেলের ইঞ্জিনিয়াররা এসে প্রয়োজনীয় মেরামতি করে ট্রেনটিকে তার যাত্রা পথে ফের রওনা করিয়ে দেন।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকার ব্রেক জ্যাম হয়ে যাওয়াতেই ধোঁয়া বের হচ্ছিল ট্রেনের চাকা থেকে। সেটি মেরামত করে ২৫ মিনিট পর ট্রেনটি নিউ আলিপুরদুয়ারের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছে।

স্টেশন মাস্টার সুব্রত মন্ডল জানিয়েছেন পদাতিক এক্সপ্রেস রানীনগর স্টেশন ছাড়ার পর আমাদের গেট ম্যানেরা জানায় এস-১ কামরার চাকা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। স্টেশনে আসার পর আমদের ইঞ্জিনিয়ারেরা দেখে ব্রেক জ্যাম হয়ে রয়েছে। এরপর মেরামতি করে ট্রেনটিকে ছাড়া হয়েছে। জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনের ১৭ ও ১৬ নম্বর গেটের গেটম্যান তিলক দাস ও তার সহকর্মী কৌশিক রায়ের এহেন কাজে সাধুবাদ জানিয়েছেন ট্রেন যাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ অনেকেই। আতঙ্কিত যাত্রীদের মধ্যে অনেকেরই স্মৃতিতে ঘুরে ফিরে আসছিল গত জানুয়ারি মাসে ময়নাগুড়ি রোডের কাছে বিকানীর এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার ভয়াবহ চিত্র। এক্ষেত্রেও রেলের ব্রেক সু জ্যাম হয়ে দুর্ঘটনা গ্রস্থ হয়েছিল ওই ট্রেনটি । যাত্রী ও রেলকর্মী থেকে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনের জড়ো হওয়া এলাকার মানুষ সকলের অভিমত আর কিছুক্ষণ এভাবে ট্রেনটি চললে বড় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারতো শিয়ালদা আলিপুরদুয়ার গামী পদাতিক এক্সপ্রেস। এ যাত্রায় দুর্ঘটনার খবর থেকে মুক্তির কারণ হিসাবে ১৬ ও ১৭ নম্বর গেটের গেটম্যানের তৎপরতাকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি রেল কর্মী ও যাত্রীদের মধ্যে গুঞ্জন ছিল কিভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে ভারতীয় রেলে। রেলকর্মীর চোখে যদি চাকা ধোঁয়া চোখে না পড়তো তাহলে হয়তো আবারো বিকানির এক্সপ্রেস এর মত দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হতো পদাতিক এক্সপ্রেস কে। বিগত সময়কালে রেল বিভিন্ন সময় ভাড়া বাড়ালেও এখনো সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত রেলওয়ে সেফটি জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে পদাতিক এক্সপ্রেসের আজকের ঘটনা সেই গাফিলতিকেই আরেকবার সামনে নিয়ে আসলো।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।