রাজ্য

কলকাতায় গঙ্গারতি সুপার ফ্লপ


সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:০৮/০৩/২০২৩:- পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এসেই রাজ্যের কোষাগার শূন্য করে নতুন নতুন পরিকল্পনা রূপায়ণ করে চলেছে,যা জনকল্যাণমূলক নয়। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ত্রিফলা লাইট বসানো বা প্রত্যেক টা মোড়ে মোড়ে রবীন্দ্র সংগীত বাজানো —- পরবর্তীতে গঙ্গারতি। কিন্তু এসব পরিকল্পনাহীন কাজের জন্য রাজ্য কোষাগার থেকে কোটি কোটি টাকা বেরিয়ে গেছে যা সাধারণ মানুষের করের টাকা। বর্তমানের নতুন পরিকল্পনা হলো রোজ সন্ধ্যায় গঙ্গার ঘাটে বেনারস বা হরিদ্বারের মতো গঙ্গারতি ।

মাত্র কয়েকদিন আগে শুরু গঙ্গারতি সুপার ফ্লপ হয়েছে বলে সুত্রের খবর । হয়তো তিনি ভেবেছিলেন বেনারস বা হরিদ্বার এর ঘাটে যে গঙ্গারতি দেখার জন্য যেমন লোকের ভিড় হয় সেরকম ই হবে । কিন্তু বাস্তবে ঘটনা টা একেবারেই উল্টো । খবর অনুযায়ী গঙ্গারতি দেখার জন্য কলকাতাবাসীর তেমন কোনো আগ্রহ নেই । গত সপ্তাহে ঢাকঢোল পিটিয়ে এই গঙ্গারতি র উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরজন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছে । ধার ঘেঁষে অতি উজ্জ্বল লাইট বসানো হয়েছে — নানা রকম নয়নাভিরাম গাছ বসানো এরজন্য খরচ হয়েছে সরকারী কোষাগার থেকে । এই গাছ বসানো র জন্য কোষাগার থেকে তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে কলকাতা পুরসভা এমনিতেই খরচের ভারে মুহ্যমান তারপর যদি আরতির ভার নিতে হয় তবে খুব মুশকিল হয়ে যাবে । যদিও সব কিছু মিটিয়েও গঙ্গারতি দেখার জন্য মানুষ ই আসছেন না ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে এই গঙ্গারতি কে কোনভাবেই বেনারস , ঋষিকেশ বা হরিদ্বার এর সাথে তুলনা করা যায় না । ঐ সব জায়গায় আরতি দেখার জন্য ভিড় করেন পর্যটক রা। অধিকাংশ এর মতে এই গঙ্গারতি প্রকল্প সুপার ফ্লপ হয়েছে আর তার থেকেও বড় প্রশ্ন এই বিপুল ব্যয় ভার বহন করে করবে ?? এই প্রশ্ন এখন পুরসভার অন্দরেও শুরু হয়েছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।