জেলা

পূর্ব বর্ধমান জেলার খবর


সমীর দাস: চিন্তন নিউজ:১৩ই আগস্ট:- ভারতের গণতান্রিক যুব ফেডারেশনের নাদনঘাট ইউনিট কমিটির উদ্যোগে শাখড়া গ্রামে পাড়া বৈঠক এ উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন যুবনেতা কমঃ সাখাওত হোসেন, সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন সেখ,সভাপতি হুমায়ুন কবির সেখ ও অন্যান্য কমরেড গন।

আজ ১৩ আগস্ট — কাটোয়ায় শহিদ রমাকান্ত দাসের ৫০ তম স্মরণ-সমাবেশ। “দেশে যখন করোনা সংক্রমণ চূড়ান্ত পর্যায়ে, তখনই রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে ব্যস্ত বিজেপি -সরকার৷ দেশের ১৫ কোটি মানুষের কাজ গেছে এই লকডাউন চলাকালীন সময়ে৷ মানুষের পেটে ভাত নেই, নেই করোনা চিকিৎসার সুব্যবস্থা৷ সরকার বলছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে, বামপন্থীরা বলছেন, সামাজিক দূরত্ব নয়, দেশের শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের সামাজিক ঐক্য গড়ে, বিজ্ঞানকে হাতিয়ার করে করোনার বিরুদ্ধে এগোতে হবে৷”—

সিপিআই(এম) কাটোয়া শহর এরিয়া কমিটির আয়োজনে ১৩ আগস্ট বিকেলে কাটোয়া পানুহাট বাজারে শহিদ রমাকান্ত দাসের ৫০ তম স্মরণ-সমাবেশে কথাগুলি বলেন সিপিআই(এম) পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুদীপ্ত বাগচি৷

শহীদ রমাকান্ত দাসের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সিআইটিইউ পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি অঞ্জন চ্যাটার্জি বলেন, ১৯৭০ সালের ১৩ আগস্ট সকাল ৮টায় পানুহাট বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়৷ তিনি ছিলেন গরিব মেহনতি শ্রমিক কৃষকের দরদী বন্ধু ও সমর্থক৷ তখন গোটা রাজ্য জুড়ে নকশালদের নাম করে কং-শাল বাহিনী তৈরি করা হয়৷ এই বাহিনী তাঁকে খুন করে৷ শহীদ রমাকান্ত দাস ছিলেন আপোসহীন সংগঠক৷ খাজুরডিহি এলাকার জোতদারদের খাসজমি দখলের আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্রণী৷ তিনি আরও বলেন, সারা দেশে মিথ্যা ও বিভ্রান্তির পরিবেশ তৈরি করেছে বিজেপি৷ কেন্দ্রে বিজেপি ও রাজ্যে তৃণমূল একই পথে একই নীতিতে চলছে৷ এই নীতির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই চালাচ্ছে বামপন্থীরা৷ রমাকান্ত দাসের আদর্শকে পাথেয় করে আজকের পরিস্থিতিতে আরও বেশি করে কৃষক-শ্রমিক সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করে শাসক শ্রেণির অত্যাচার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইকে জোরদার করতে হবে৷ এটাই হবে তাঁর স্মরণের সার্থকতা৷

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শহিদ রমাকান্ত দাস এই এলাকার গরিব পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের শিক্ষার জন্য আদর্শপল্লী স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন৷ অনেক সমস্যা ও বাধার মধ্য দিয়ে স্কুলটি গড়ে ওঠে৷ পরবর্তীকালে বামফ্রন্ট সরকার অনুমোদন দেয়৷ বর্তমানে স্কুলটি উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত৷ শহিদ রমাকান্ত দাস তাঁত শ্রমিক আন্দোলনের প্রথম সারির সংগঠক ছিলেন৷

স্মরণ-সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য ঈশ্বরচন্দ্র দাস, কাটোয়া শহর এরিয়া কমিটির সম্পাদক প্রকাশ সরকার৷ সভাপতিত্ব করেন শহিদ রমাকান্ত দাসের সহযোদ্ধা দুলাল পাল৷

এদিন সকালে পানুহাট বাজারে শহিদ রমাকান্ত দাস স্মরণে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয়৷ এরপর অনুষ্ঠিত হয় শোকমিছিল৷


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।