চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:৬ই জানুয়ারি:–বিভাজনের রাজনীতি দীর্ঘমেয়াদে দেশের ক্ষতি করতে পারে; বললেন ভারতের প্রাক্তন আর্থিক উপদেষ্টা কৌশিক বসু।।
প্রাক্তন আর্থিক উপদেষ্টা কৌশিক বসু বলেছেন যে, গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা , ধর্মনিরপেক্ষতা ও বহুত্ববাদই ছিল স্বাধীনতা উত্তর কালে ভারতের ঐতিহ্য।তাতে ক্ষয় ধরার কারণে আঘাত প্রাপ্ত হচ্ছে বহুমত প্রকাশের স্বাধীনতা।তাঁর মতে নতুন প্রজন্মের বৈচিত্র্যময় ভাবনাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা র মধ্যে দিয়ে।সেক্ষেত্রে বিরুদ্ধ মতকেও প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়ে সন্মানের সঙ্গে গ্রহণ করতে হবে।বর্তমান পরিস্থিতি স্বাধীন মত প্রকাশের পরিপন্থী বলে তিনি মনে করেন।
বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার প্রভাব নিয়ে এক আলোচনা চক্রে তিনি ,এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।তবে ভারতের সিএএ বা এনআরসি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে তিনি অস্বীকার করেন।বর্তমান অর্থনীতিতে লগ্নির পরিকাঠামো নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বিগত কয়েক বছরে জিএসটি,নোট বাতিল সহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত কিভাবে গ্রামীণ অর্থনীতি কে ক্ষয়িষ্ণু করেছে তা ব্যাখা করেন।বর্তমানে বিভাজনের রাজনীতি ও পারষ্পরিক আস্থাহীনতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বল্প মেয়াদের কোনো পরিকল্পনা গ্রহন করলে দীর্ঘমেয়াদে তা কার্যকরী হবেনা ।
সমাজে পারষ্পরিক বিশ্বাসের উপর দেশের উন্নয়ন নির্ভরশীল বলে তিনি মনে করেন।যখন কোনো শ্রমিক নিজেকে কোনো সংস্থার অংশীদার বলে মনে করে তখন তার কর্মদক্ষতা বাড়ে ৫৬%।ভারতের ক্ষেত্রে বিভাজন ও উগ্র জাতীয়তাবাদ এমন অবস্থায় রয়েছে যে নিজেকে সমাজের অংশীদার মনে করার মনোভাব বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।যা দেশের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর।
ভারতে বিভিন্ন ধরণের মানুষের মধ্যে যে বৈচিত্র্য রয়েছে তা অক্ষুন্ন রাখতে সবাইকে, নিজেকে দেশের অংশ হিসেবে ভাবতে হবে।সেই বুনিয়াদই দেশকে আর্থিক উন্নতিতে উৎসাহ যোগায়।মানবসম্পদ ও উচ্চশিক্ষার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে তিনি জানান ভবিষ্যতে কৃত্রিম মেধার প্রযুক্তি যখন কর্মক্ষেত্র সঙ্কোচন করবে ,তখন মেধাবী ও উদ্ভাবনী মননের প্রয়োজন হবে।গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে থেকে বহুমত সহিষ্ণুতা ও উচ্চশিক্ষার গুরুত্বের কথা প্রাধান্য পেয়েছে তাঁর বক্তব্যে।