অসমের সংবাদদাতা সীমা বিশ্বাস: চিন্তন নিউজ: ৩১ আগষ্ট- বছর বছর অসমের বন্যা ও ভাঙনে লক্ষ লক্ষ হেক্টর জমি,পশুধন, মানুষের জীবন, ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হবার পরও আজ পর্যন্ত অসমের বন্যাকে সরকারী প্রতিশ্রুতি থাকা স্বত্বেও রাষ্ট্রীয় সমস্যা হিসেবে ঘোষণা করা হলো না। এবছরও ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে শদিয়া থেকে ধুবরী পর্যন্ত সমগ্র রাজ্য জলমগ্ন হয়ে পড়ে। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর ফলে দেরিতে হলেও গত তিন চার দিন ধরে অরুনাচল প্রদেশ ও ভূটানে প্রবল বৃষ্টি পাতের ফলে ব্রক্ষ্মপুত্র সহ রাজ্যের নদী-উপনদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে জেলায় জেলায় বন্যার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি ডিব্রছৈখোয়া এবং কাজিরাঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যানের এক বিস্তৃণ অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে জীবজন্তু সব আটকে পড়েছে।
সম্প্রতি যোরহাটের নিমাতিঘাট,তেজপুরে ব্রক্ষ্মপুত্র বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। অন্যদিকে ভূটানে এবং অরুণাচল প্রদেশ থেকে নেমে আসা সোবনশিরি, জীয়াভরলী, পুঠিমারি, পাগলাদিয়া, বেকী, মানাহ, সোনকোষ, গৌরাং নদী বিপদসীমা অতিক্রম করার ফলে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে।অসম রাজ্যিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রাধিকরণ সুত্র মতে ১৫ টা জিলা ক্রমে বাগসা, বরপেটা, বঙ্গাইগাও, চিয়াং, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, গোলাঘাট, যোরহাট , বিশ্বনাথ, মাজুলি, লক্ষিমপুর, মরিগাও, শিবসাগর, যোগীঘোপা এবং তিনসুকিয়ায় মোট ৫১২টা গ্ৰাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।১০লাখের ও অধিক লোক বন্যার কবলে পড়েছে। আই নদীর বন্যায় আবদ্ধ সৃজনগ্ৰামের ২০৭টা পরিবার সরকারী সাহায্য বা উদ্ধারকাজ এখনো সেখানে হয়নি’। বানবিধ্বস্ত মানুষেরম সাহায্যে ত্রাণশিবির বা ত্রাণসামগ্রী বিতরণের ক্ষেত্রে সরকার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেনি। অসহনীয় জীবন যাপন করতে মানুষ বাধ্য হচ্ছেন।