সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:২২ শে অক্টোবর:–ভোট প্রচারে উপেক্ষিত কৃষকরা। কি ভাবে মহারাষ্ট্র বাসীর জীবন উন্নতির শিখরে বসানো যায় তার ভুরি ভুরি আশ্বাস বাক্য শোনা গেছিল শাসক বিজেপির তাবড় নেতা মন্ত্রী বিধায়কদের মুখে ,ভোট বড়ো বালাই।।। ভোটের প্রচারে ঘুরে ঘুরে এসেছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দূর্নীতির কথা,৩৭০ ধারা বিলোোপের উপকারিতা, এমন কি সাভারকরকে ভারতরত্ন পুরস্কার দেওয়ার কথা বার বার ঘুরে ফিরে এসেছে। কিন্তু আসেনি যেটা সেটা হল মহারাষ্ট্র এর কৃষি সঙ্কট , অভাবের জেরে কৃষক আত্মহত্যা ঘটনা গুলো।।
কৃষি উৎপাদনে মহারাষ্ট্র ভারতের মধ্যে একটি অন্যতম রাজ্যকিন্তূ এই রাজ্যেরই কলঙ্ক যে এখানেই সবথেকে বেশী কৃষক আত্মহত্যা করে মরছে। প্রতিদিন এখানে কৃষক আত্মহত্যার শিরোনামে। খরা,ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়া, উৎপাদিত ফসলের দাম না পাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ,কৃষকদের জীবনের রোজনামচা।। বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়ে সেটা সামলাতে না পেরে আত্মহত্যার সোজা পথটাই বেছে নেয়।। কৃষি ঋণ মুকুব,নুন্যতম সহায়ক মূল্য এর দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে কেন্দ্র_রাজ্যের বিজেপি সরকার কোনো দৃষ্টিপাত করে নি।।
সোমবার বিধানসভা ভোট হ’ল রাজ্যে।। যত দিন এগিয়ে এসেছে তত নির্বাচনই উত্তাপ বেড়েছে আর বিভিন্ন প্রচারে চলেছে উস্কানি মূলক ভাষণ।। কিন্তু কৃষি সঙ্কট কোনো গুরুত্ব পায় নি।। ২০১৫ থেকে ২০১৮ অবধি মহারাষ্ট্র রাজ্যে ১২ হাজারেরও বেশী কৃষক আত্মহত্যা করেছে। সরকারের হিসেবে বেসরকারি মতে সংখ্যা আরো অনেক বেশি।। ক্ষতিপূরণ দেওয়া এড়াতে ক্ষতিপূরণ তালিকাতে নামই নথিভুক্ত করা হয় না।। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ক্ষতিপূরণ থেকে গরীব পরিবার গুলোকে বঞ্চিত করা হয়।। আজ অবধি যত জন কৃষক আত্মহত্যা করেছে মেরে কেটে অর্ধেক অংশ ক্ষতিপূরণ পেয়েছে।।।। বহু কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনাকে পারিবারিক ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।। মহারাষ্ট্রের কৃষক পরিবারের সদস্যরা দুর্যোগের সীমানা ছাড়িয়ে দাঁড়িয়ে।। । ভোটের ফল এদের জীবনে আশার আলো আনবে কি??