সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:৩০শে মে:-মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায় শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের নাম করোনা স্পেশাল ট্রেন। “ভাত দেবার মুরোদ নেই কিল মারার গোঁসাই””” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের ভাষা শুনে বহু প্রচলিত এই প্রবাদ টাই মনে পড়ল।। খবরে প্রকাশ খোদ নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে ভিন রাজ্যে যে সব শ্রমিকরা পেটের দায়ে কাজ করতে গিয়েছিলেন তাঁদের ফেরার ট্রেন চলাচল প্রসঙ্গে তিনি এই উক্তি করেছেন।। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রথম থেকেই অবহেলা , তথ্য গোপন যথেচ্ছ করেছেন ।। শ্রমিকদের ফেরা নিয়েও যথেষ্ট মিথ্যাচার করেছে, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার উভয়েই।। শ্রমিকদের অনেকেই শত শত কিলোমিটার হেঁটে বাড়ী ফেরার রাস্তা ধরেছেন।। তাঁদের অনেকেই মৃত্যু মুখে পতিত হয়েছেন।। না খেতে পেয়ে ছাদ বিহীন অবস্থায় দিনের পর দিন রাস্তায় কাটিয়েছেন।। কোন সুরাহা হয় নি।। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তাদের ফেরানোর জন্য ট্রেনেরও আবেদন জানাননি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে।। বিস্তর দড়ি টানাটানির পর বেশ কয়েক লক্ষ শ্রমিক বাস বা গাড়ী এবং প্রায পঁচাত্তর শ্রমিক ট্রেনে পশ্চিমবঙ্গে ফিরেছেন।।। পথে তাদের না জুটেছে খাওয়া, না জুটেছে জল।। গাদাগাদি করে কোনরকমে তারা এসে পৌঁছেছেন।।
দেশজুড়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে ওই সব মানুষের মধ্যে কারও করোনা সংক্রমণ আছে।। এদিকে প্রথম থেকেই অবহেলা করার ফলে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে।। তার সাথে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও।। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্মম উক্তিতে যে ট্রেন বা বাস গুলোতে শ্রমিক রা ফিরেছেন তাদের করোনা স্পেশাল ট্রেন বা বাস বলেছেন।। তাঁর এই অমানবিক উক্তিতে সরকারি আধিকারিকরা পর্যন্ত হতভম্ব হয়ে পড়েন।।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়া কন্টেন্টমেন্ট জোন হতে শুধু সময়ের অপেক্ষা।। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট মানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় আট জন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে আক্রান্ত।। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তমোনাশ ঘোষ করোনা আক্রান্ত যার বাড়ি মমতা ব্যানার্জি র বাড়ীর ঠিক পাশের ফ্ল্যাটে।। আর একদিকে মমতা ব্যানার্জি সরকারের অন্যতম মন্ত্রী সুজিত বসু ও তার স্ত্রী করোনা আক্রান্ত।। মুখ্যমন্ত্রী কার্যত হাল ছেড়ে দেওয়ার ভঙ্গিতে বললেন যে করোনা সংক্রমণ নিয়ে তার কিছু করার নেই।। অদ্ভুত ভাবে তিনি করোনাকে পাশবালিশ করে ঘুমাতে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন। এদিন এক মেডিকেল বুলেটিনে জানানো হয় যে করোনা আক্রান্ত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মৃত্যুর সংখ্যা ৩০২ জনের।। যদিও বিভিন্ন শ্মশান বা কবর স্থানে যে পরিমাণ সৎকার করা হয়েছে তাতে করে এর সংখ্যা অনেক বেশি বলেই বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা।