সুপর্ণা রায় : চিন্তন নিউজ:৫ই মার্চ:– গত ১১ ই ফেব্রুয়ারি ছিল চাকরি , শিক্ষা , সময়মতো সরকারি পরীক্ষা গ্রহণ করা ইত্যাদি দাবীতে হয়েছিল নবান্ন অভিযান।। এই অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছিল এস এফ আই/ ডি ওয়াই এফ আই এর কর্মী সমর্থকরা। ওই দিন কলকাতা পুরো ছাত্র যুব দের আয়ত্বে চলে গিয়েছিল।। মে পুলিশ সাধারণত একটু বিপদ দেখলে টেবিলের তলায় ফাইল আড়াল করে বসে থাকে সেদিন সেই পুলিশ সরকার এর দলদাস হয়ে অতিসক্রিয় হয়ে উঠলো। জলকামান থেকে শুরু করে টিয়ার গ্যাস ছুড়ে অভিযানকারী দের ছত্রভঙ্গ করতে লাগলো।।এক পুলিশ এর লাঠির আঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো প্রচুর ছাত্র-ছাত্রীদের। পাড়ায় না জানিয়ে শুধু মাত্র স্ত্রীকে জানিয়ে মইদুল ইসলাম মিদ্যা ও এসেছিলেন নবান্ন অভিযানে।। কিন্তু দুঃখের বিষয় পুলিশ এর লাঠির আঘাতে আহত হন কোতলপুরের এই কমরেড এবং পড়ে মারা যান।। এরই সঙ্গে আর একটি ঘটনা সেদিন ঘটেছিল।। নবান্ন অভিযানে এসেছিলেন দীপক পাঁজা।। সেদিন থেকে এই কমরেড দীপক পাঁজা নিখোঁজ হয়ে গেলেন।।সবার মনে একটা দুঃস্বপ্ন বাঁধা বেঁধেছিল ম ইদুল ইসলাম মিদ্যার মতো কিছু দুর্ঘটনায় নিহত হলেন না তো দীপক পাঁজা? কিন্তু আজ এল এক দারুণ সুখবর—–, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ছাত্র-যুব’র নবান্ন অভিযানে নিখোঁজ কমরেড দীপক পাঁজাকে খুঁজে পাওয়া গেছে। আজ বিকালে হাওড়া জেলার পার্টি নেতা সুখেন দাস তাঁকে বালি স্টেশন থেকে খুঁজে পান। তাঁকে বর্তমানে সিপিআই(এম) হাওড়া জেলা দপ্তরে নিয়ে আসা হচ্ছে। ১১ ই ফেব্রুয়ারি বাম ছাত্র যুবদের নবান্ন অভিযানে নিখোঁজ হয়েছিলেন দীপক পাঁজা। তারপর থেকে বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আজ সেই দীপক পাঁজাকে খুঁজে বার করলেন সেই এক সিপিআইএম পার্টি কর্মী। আজ অর্থাৎ শুক্রবার বিকালে বাম নেতা সুখেন দাস তাকে বালি স্টেশন থেকে খুঁজে পান।
প্রসঙ্গত, ১১ ই ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানে এসে নিখোঁজ হয়েছিলেন দীপক পাঁজা। নিখোঁজ পার্টি কর্মীকে খুঁজে পাবার জন্য চেষ্টার খামতি রাখেনি বাম ছাত্র যুব থেকে শুরু করে নেতারা। অবশেষে তাকে খুঁজে পেয়ে খুশি সকলেই। এমন অভিযান হলে রাজ্য সরকারের একটা দায়িত্ব থেকে যায়।। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জি সরকার কোনো দায়িত্ব নেন নি।পুলিশ কোনো উদ্যোগ নেয়নি দীপক পাঁজাকে খুঁজে বের করার ব্যাপারে।।