জেলা

বাঁকুড়া জেলার বিশিষ্ট পুরাতত্ত্ববিদ শ্রী চিত্তরঞ্জন দাসগুপ্ত এর প্রয়াণে একটি যুগের অবসান


কিংশুক ভট্টাচার্য: চিন্তন নিউজ:১৩ই আগস্ট:-বিশিষ্ট পুরাতত্ত্ববিদ, গবেষক,শিক্ষাব্রতী,শিক্ষা আন্দোলনের পুরোধা,সর্বোপরি আদর্শ শিক্ষক চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত বুধবার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। তিনি ১৯২৫ সালে ১লা জুলাই বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে জন্মগ্রহণ করেন ‌। ছোট বেলা থেকে গল্প,নাটক , কবিতা,প্রবন্ধ লিখে সুনাম অর্জন করেন। তাঁর সহজ সরল অনাড়ম্বর জীবন যাপন ও অমায়িক ব্যবহার তাঁকে শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছিল ।

শিক্ষকতাকে তিনি ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেন। নিজ গুণেই আদর্শ শিক্ষক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।তিনি শিক্ষা আন্দোলনের প্রথম সারির নেতা ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে সত্তরের দশকে যখন রাজনৈতিক কারণে শিক্ষাক্ষেত্রে অরাজক পরিস্থিতি তখন থেকেই তিনি সামনের সারিতে। এবিটিএ’র মহকুমা সম্পাদকের দায়িত্ব যথার্থ ভাবে পালন করেছেন। তিনি শিক্ষক হিসাবে নিজের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি যেভাবে শিক্ষাব‍্যবস্থার ত্রুটি, দুর্বলতা, শিক্ষকদের পেশাগত ও শিক্ষাগত বিষয়ে আপোষহীন লড়াই করেছেন তা দৃষ্টান্ত স্বরূপ।আজকের প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা। নিখিলবঙ্গ শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয় গঠনের অন‍্যতম রূপকার ছিলেন।

রাঢ়বঙ্গের বহুবিষয় নিয়ে গবেষণামূলক কাজ তিনি করেন।ভারতবর্ষের বিভিন্ন সংস্থা থেকে বহু সম্মানে ও পুরস্কারে ভূষিত হন। রাঢ়বঙ্গের পুরাকীর্তির উপর গবেষণামূলক কাজ করে গ্রন্থ প্রকাশ করেন। আজীবন এবিটিএর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে উত্তরসৃরীদের নতুন দিশা দেখিয়েছেন। এবিটিএ- র জেলা সম্পাদিকা অস্মিতা দাসগুপ্ত রায় তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, “তাঁর প্রয়াণে শিক্ষাজগৎ হারাল এক মহান শিক্ষাবিদকে, সংগঠন হারাল একনিষ্ঠ সৈনিককে,ছাত্রসমাজ হারাল এক আদর্শ শিক্ষককে।” একটা অধ‍্যায়ের সমাপ্তি হল। তাঁর আদর্শকে সামনে রেখে সততার সঙ্গে সংগঠন তাঁর লড়াই চালিয়ে যাবে এই অঙ্গীকার করছে তাঁর প্রিয় সংগঠন এবিটিএ। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শোক জ্ঞাপন করেন বাঁকুড়ার অগণিত মানুষ।।পরিবারবর্গের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।