নিউজডেস্ক, চিন্তন নিউজ, ২ জুন: ১জুন থেকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার বেশ কিছু বিভাগে বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি চালু করার উদ্দেশ্যে একতরফা বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইস্পাত কর্তৃপক্ষ। এই বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতির বিরুদ্ধে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার প্রশাসনিক ভবনে বিক্ষোভ দেখালো কারখানার শ্রমিক সংগঠনগুলি।
এই বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছিল যৌথভাবে সি.আই. টি.ইউ, আই.এন.টি.ইউ.সি, এ.আই. টি.ইউ.সি, এ.আই. ইউ.টি.ইউ.সি. প্রমুখ শ্রমিক সংগঠনগুলি। নেতৃবৃন্দ জানান নীতিগতকারনে তাঁরা এই বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতির বিরোধীতা করছেন। শ্রমিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে ক্ষুণ্ন করছে এই বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। দুর্গাপুর ইস্পাত কর্তৃপক্ষ জোর করে শ্রমিকদের আঙুলের ছাপ দিতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ। শ্রমিকের অনুমতি ছাড়া এই বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা যাবে না বলেই বলা আছে ভারত সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি আইনে। দুর্গাপুর ইস্পাত কর্তৃপক্ষ কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছেন না বলে নেতৃবৃন্দের অভিযোগ।
ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট তাঁর রায়ে সংবিধানের মৌলিক অধিকারভুক্ত করলেও শ্রমিকদের ব্যক্তিগত sensitive information কে জোর করে দিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে বহু শ্রমিক অভিযোগ করেছেন। তবে ইউনিয়নগুলির প্রতিনিধিরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন কাজের জায়গায় শৃংখলা এবং নিয়মানুবর্তিতার সাথে কোনোভাবেই সমঝোতা করা হবে না। শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে পড়ে কর্তৃপক্ষ জানিছেন তাঁরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করবেন এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখবেন।