দেশ

“ডঃ কাফিলখানের বক্তব্য রাষ্ট্রীয় অখন্ডতার পরিচয় দেয়, ভায়োলেন্স নয় “- এলাহাবাদ হাইকোর্ট।


মিতা দত্ত: চিন্তন নিউজ:১লা সেপ্টেম্বর,২০২০:- “ডঃ কাফিলখানের বক্তব্য রাষ্ট্রীয় অখন্ডতার পরিচয় দেয়, ভায়োলেন্স নয় “- এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এই যুক্তিনিষ্ঠ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ডঃ কাফিল খানের মুক্তির আদেশ দেন।

হাইকোর্ট তাঁর রায়দানের বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেন, “ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ” ভিত্তিতে কাফিলখানের মুক্তি অবশ্যম্ভাবী। হাইকোর্ট আরো বলেন, কোনোভাবেই তাঁর জেলজীবন দীর্ঘায়িত করা যায় না। ডঃ কাফিল খানের বিচার প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা হলেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মথুর ও বিচারক সৌমিত্র দয়াল।

২০১৯ সালে সি. এ. এ বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে তিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের যে বক্তব্য বলেন ,সেই বক্তব্যের জন্য মথুরা জেলে তাঁকে দায়ের করা হয়। তাঁকে জামিন দেওয়া হয়. ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে । দুইদিন পর তাঁকে ” ন্যাশন্যাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে ভিত্তিতে তাঁকে আবার আটক করা হয়।

এলাহাবাদ কে. সি জানায় তাঁর বক্তব্য দেওয়ার দিন থেকে ডিটেনশনের কাজ আরম্ভ হয় নি।কোর্টের বক্তব্য, তিনি ছাত্রদের সামনে যে বক্তব্য রেখেছিলেন, সেই বক্তব্য ভায়োলেন্স প্রচার করে না।তাঁর বক্তব্যের দ্বারা কোনভাবেই শান্তি বিঘ্নিত করে না।তাই ডঃকাফিল খানকে মুক্তির আদেশ দেওয়া হলো।

ডঃ কাফিল খানের গ্রেপ্তারের ঘটনা বামপন্থী মানুষ সহ শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ মেনে নিতে পারেন নি। ডঃ কাফিল খানের মুক্তির দাবীতে নিরন্তর আন্দোলন জারী ছিলো। আন্দোলনরত ব্যক্তিদের বক্তব্য ভারতবর্ষের মতো গণতান্ত্রিক দেশে গণতন্ত্রকে উদ্বায়ু করে দিয়ে এই ধরনের পদক্ষেপ শাসকশ্রেণী নিতে না পারে, সে ব্যাপারে সচেতন থাকা দরকার মানুষের।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।