মাধবী ঘোষ, চিন্তন নিউজ, ২ অক্টোবর: হজমের সমস্যা, মাথাব্যথা থেকে গলা বুক জ্বালা, যে কোনো ছোটখাটো সমস্যার রেডিমেড সমাধান এন্টাসিড। সেই অভ্যাসই এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে মারাত্মক। প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টাসিড বিষের থেকেও ক্ষতিকর হতে পারে। অন্তত ৬০ বছর আগে সতর্ক করেছিলেন এ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ বিধান চন্দ্র রায়। ব্যাগ বা পার্স হাতড়ালেই অনেকের কাছে মিলবে অ্যান্টাসিড। হজমের সমস্যা, মাথা ব্যথা থেকে গলা বুক জ্বালা যে কোনো ছোটখাটো সমস্যা সমাধান। সেই অ্যান্টাসিড থেকে ক্যানসারের সম্ভাবনা। আমেরিকার পর ভারতেও সর্তকতা জারি হল।
নির্দিষ্ট এক ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার হচ্ছে এন্টাসিডে। আর এন্টাসিডের এই রাসায়নিক থেকেই শরীরে ক্যান্সার ছড়াচ্ছে। গবেষণায় এই তথ্য সামনে আসার পরই রেনিটিডিন জাতীয় ওষুধ নিয়ে সর্তকতা জারি করলো ড্রাগ কন্ট্রোল অথরিটি। এন্টাসিডে নাইটি মিথা লালিনের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। এই রাসায়নিক ক্যান্সারের সম্ভাবনা অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। রেনিটিডিন জাতীয় ওষুধে এই রাসায়নিকের ব্যবহার হয়।
এন্টাসিডে নাইটো সোডি মিথা লালিন এর প্রভাব নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরেই এই ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করে মার্কিন ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এরপরে এদেশেও জারি হল সর্তকতা। তারপরেই বাজার থেকে এই ধরনের ওষুধ তুলে নেওয়ার ঘোষণা করছেন ওষুধ নির্মাতা সংস্থা গ্লাকসো।
মাথার যন্ত্রণা থেকে হার্টের সমস্যা, দেশের বাজারে ছোট-বড় পনেরোটি অসুখের রেনিটিডিন জাতীয় ওষুধের ব্যবহার হয়। ট্যাবলেট ও ইনজেকশনে এই জাতীয় ওষুধের ব্যবহার। ড্রাগ কন্ট্রোলের সিডিউল এইচ তালিকায়। ২৬ টি স্বীকৃত সংস্থা ১৮০টিরও বেশি ওষুধে রেনিটিডিন ব্যবহার করে। জিনটেক থেকে অ্যাসিলক, রেনটেক ওডি কিম্বা আর লেক ছোট বড় সমস্যায় চোখ বুঝে এসব ওষুধ খাওয়া অনেকেরই অভ্যাস। অর্থাৎ এন্টাসিডের অভ্যাস ত্যাগ করতে ডঃ বিধান চন্দ্র রায়ের স্মরণ নিতেই হচ্ছে।