রঞ্জন মুখার্জি:(বুক রিভিউ): চিন্তন নিউজ:২৫শে মার্চ:–এটি একটি অমূল্য দলিল ।ইট ইজ এ রিপোর্ট অফ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস টিম অন লিঞ্চিং ইন হরিয়ানা এন্ড রাজস্থান । এই তদন্ত কমিটি তে কাজ করেছেন এবং রিপোর্টটি তৈরি করেছেন, পি.ভি সুরেন্দ্রনাথ, সিনিয়র এডভোকেট, সুপ্রিম কোর্ট অফ ইন্ডিয়া। রেশমিথা আর চন্দ্রন, অ্যাডভোকেট- অন- রেকর্ড, সুপ্রিম কোর্ট অফ ইন্ডিয়া।কে. আর. সুভাষ চন্দ্রন, অ্যাডভোকেট, সুপ্রিম কোর্ট অফ ইন্ডিয়া। পি কৃষ্ণপ্রসাদ, ফিনান্স সেক্রেটারি , সারা ভারত কৃষক সভার রিপোর্টটি পাবলিশ করেছে ভূমি অধিকার আন্দোলন কমিটি। রিপোর্টটির ভূমিকা লিখেছেন হান্নান মোল্লা, ভূমি অধিকার আন্দোলন কমিটি।
এই রিপোর্টটিতে যে সকল ঘটনাগুলো তদন্ত করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ঘটনা গুলো হলো : ৬ ই জানুয়ারি ২০১৮, রাজস্থানের ভরতপুর জেলার ঘাটকা গ্রামে পশু ব্যবসায়ী ইসলামিক ওমর খান কে গো রক্ষা সমিতি পিটিয়ে মারে।হরিয়ানার পশু ব্যবসায়ী পেহলু খানকে পিটিয়ে মারা হয় রাজস্থানে ১ লা এপ্রিল ২০১৭.। তাকে পিটিয়ে মারে গোরক্ষা সমিতি, বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এটিও ঘটে আলওয়ার ডিস্ট্রিক্টে একটি ফেক এনকাউন্টারের মাধ্যমে। আরেকটি ঘটনা ঘটে ৬ ই ডিসেম্বর ২০১৭। সেদিন রাজস্থান আলোয়ারের মাফিয়া শম্ভুলাল গুলি করে খুন করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা রাজমিস্ত্রি আফরাজুলকে। এখানেও জড়িয়ে আছে গরু পাচারের মিথ্যা অভিযোগ।
এভাবেই একের পর এক খুনের ঘটনা, পিটিয়ে মারার ঘটনা ঘটে চলেছে উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গাতে, বিশেষ করে রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ । হরিয়ানা জিলাতে খুন হয়ে যান আরিফ কুরেশি। হরিয়ানার ফরিদাবাদে খুন হয়ে যান জুনায়েদ খান। হরিয়ানাতে গনধর্ষণের শিকার হন দুই বোন ।
এরকম আরো অনেক ঘটনা যেগুলো ঘটিয়েছে সরাসরিভাবে গো রক্ষা সমিতি অথবা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, এবং সবকটি ক্ষেত্রে পুলিশ সক্রিয়ভাবে মদত দিয়েছে, এবং খুনিদের শাস্তি যাতে না হয়, সেভাবেই কেস সাজিয়েছে।এই পুরো ঘটনাগুলোর তদন্ত করেছে ভূমি অধিকার আন্দোলনের কমিটি। গোটা রিপোর্টটিতে দেখানো হয়েছে যে এগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর শিকড় বহু প্রাচীন যুগ থেকে প্রোথিত। গোরক্ষার নাম করে সমাজে হিন্দু মুসলিমের যে বিভেদ সেটা কি জিইয়ে রাখা, প্রয়োজনে বাড়িয়ে তোলা, এর যে পরিকল্পনা সেটা ইংরেজদের সময় থেকেই চলে আসছে।
এই রিপোর্টে যা লেখা হয়েছে তার একটা অংশ হুবহু দেওয়া হল ….. ” The cow protection movement started by orthodox Hindus was used for the same purpose Kimberly, the secretary of State for India, wrote to Lansdowne, the victory, on 25 th August 1893 that this movement” makes all combinations of the Hindu and the Mohammedans impossible, and so cuts at the root of the Congress agitation for the formation of a united Indian People”. The ‘ Devide and Rule’ policy was not confined to Hindu and Muslim differences only.”
This part is taken from ” Freedom Struggle” by Bipan Chandra, Amalesh Tripathi, Barun De .
তাই, আরএসএস, বিজেপি এর গোপন উদ্যেশ্য কি , কেনো এতো অসহিষ্ণুতা , কেনো গোমাতা, গোচনা, গোবর নিয়ে এত উন্মাদনা , এসব জানতে গেলে এই রিপোর্টটি অবশ্য পাঠ্য।