চৈতালি নন্দী: চিন্তন নিউজ:২০শে ডিসেম্বর:-মাইলের পর মাইল অতিক্রম করে দাবী আদায়ের লক্ষ্যে মহারাষ্ট্র থেকে দিল্লির পথে কৃষকরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষকরা জড়ো হচ্ছে দিল্লীতে। আন্দোলনের শুরুতে তামিলনাড়ু, পুদুচেরী, গুজরাট সহ বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকরা বিভিন্ন বিক্ষোভ ও অনশন কর্মসূচি পালন করেছে। কালা কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে স্বাধীনতার পর আবার দিল্লী চলোর ডাক দিয়েছে ভারতের কৃষক সম্প্রদায়। গুজরাটে, উত্তর প্রদেশ সহ বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যে সরকারের তরফে বিরোধী নেতাদের গ্রেফতার, গৃহবন্দী ও আটক করে আন্দোলন দমনের চেষ্টা সত্বেও কৃষকদের দমন করা যায়নি। রাজ্যের বহু কৃষক ছদ্মবেশে গুজরাট থেকে পালিয়ে দিল্লীর পথ ধরেছেন।
একদা মহারাষ্ট্রের কৃষকরা সুতীব্র দহনে পথ হেঁটেছিল দাবী আদায়ে, সেই অভিজ্ঞতাকে সঙ্গী করে এবার হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় দিল্লির পথে কৃষকরা। হাজার হাজার কৃষক পরিবার প্রবল ঠান্ডা উপেক্ষা করে মধ্যপ্রদেশ হয়ে সেখান থেকে রাজস্থান অতিক্রম করে হরিয়ানা সীমান্ত থেকে দিল্লির পথে রওনা হচ্ছে, সঙ্গে থাকছে টেম্পো, বাস, লরি ও ট্রাক্টর সহ যৎসামান্য রসদ। ২১ ডিসেম্বর নাসিকে একটি বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে আগামী ২৪ শে ডিসেম্বরে তাঁদের দিল্লী পৌঁছনোর পরিকল্পনা রয়েছে। যাত্রাপথে বিভিন্ন রিলায়েন্স পেট্রোল পাম্পে বিক্ষোভ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সুদীর্ঘ যাত্রাপথে তাঁদের স্বাগত জানাবেন কৃষক আন্দোলনকে সমর্থনকারী অসংখ্য সাধারণ মানুষ।
নয়া কৃষি আইন প্রকৃতপক্ষে কৃষকদের কর্পোরেটদের দাসে পরিণত করার এক পরিকল্পিত ঘৃণ্য চক্রান্ত। অল ইন্ডিয়া কৃষক সভার সভাপতি অশোক ধাওয়ালে জানান হাজার হাজার কৃষক পরিবার প্রবল প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার মধ্যে দিল্লী পাড়ি দিচ্ছেন তিনটি দাবীকে সামনে রেখে। প্রথমত নয়া কৃষিবিল বাতিল করতে হবে, দ্বিতীয়ত বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল প্রত্যাহার করতে হবে ও তৃতীয়ত, উৎপাদিত ফসলের উৎপাদন খরচের ন্যুনতম দেড়গুণ সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করা। এর আগেও নাসিক থেকে মুম্বাই, মীরাট থেকে দিল্লী পদযাত্রায় মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্রশক্তির সামনে নিজেদের দাবী আদায়ের পরীক্ষা দিয়েছিল তাঁরা। এবার কালাকানুন বাতিলের দাবীতে আবার এক অগ্নিপরীক্ষার সামনে কৃষকরা।