জেলা

মালিককে না জানিয়ে জমিতে ফোর লেনের জন্য মাপজোককে ঘিরে বিক্ষোভ ,এই ঘটনায় পুলিশের গুলির নির্দেশ


সঞ্জিত দে: চিন্তন নিউজ:– ১৯ নভেম্বরের রিপোর্ট:— অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি নিয়ে ধুন্ধুমার ধূপগুড়ির একাধিক গ্রামে।ফোর লেন মহাসড়কের জমি মাপতে এসে বিক্ষোভের মুখে পুলিশ এবং বিডিও।বিক্ষোভ দেখালেন জমির মালিক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের।

জমি দিতে অনিচ্ছুক কৃষকরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে। বিনা নোটিশে জমিতে ফোর লেনের কর্তৃপক্ষের লোকেরা মাপজোক করতে নামায় রীতিমতো তাদেরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন জমি মালিকরা এবং জমির মালিককে সরাতে পুলিশ গুলি চালানোর হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। জানিয়ে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে আছে ধূপগুড়ি কলেজ পাড়া সংলগ্ন খলাইগ্রাম এলাকায়।

মহাসড়কের কাজ নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভ। ঘটনাস্থলে ধূপগুড়ি থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি, বচসা স্থানীয়দের। ধূপগুড়ি ব্লকের বারঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদ্যাশ্রম , এবং কলেজ পাড়া ১ নং ওয়ার্ড সহ গাদং ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের খলাইগ্ৰাম এলাকার ঘটনা।

জানা গেছে এদিন সকালে ধূপগুড়ি ব্লকের বারঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদ্যাশ্রম এলাকায় মহাসড়ক নির্মাণের জন্য জমি মাপার কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেওয়ায় সেখানে জমি মাপা সম্ভব হয়নি। এরপর ধূপগুড়ি- ফালাকাটা রাজ্য সড়কের পাশে খলাইগ্ৰাম এলাকায় জমি মাপতে গিয়ে ফের বাধার মুখে পড়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের জমি মাপতে বাধা দেন। বাধা অতিক্রম করে জমি মাপতে গেলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় পুলিশের সঙ্গে জমির মালিকদের। এমনকি মহিলারা রীতিমতো ঝাঁটা হাতে বাধা দেন তাদের। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মহিলার গায়ে হাত দিয়েছে পুরুষ পুলিশ কর্মীরা।‌যা নিয়ে রীতিমতো উত্তেজনা ছাড়া গোটা এলাকায়। ধূপগুড়ির বিডিও শংখদ্বীপ দাস এবং আই সি সুজয় তুঙ্গা রীতিমত কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে পরেন এবং বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে যান। অনিচ্ছুক কৃষক পরেশ রায় বলেন আমাদের তিনফসলি জমি আমরা কিছুতেই দেবনা। জমির ক্ষতিপূরণের টাকা বসে খেলে শেষ হয়ে যাবে এর পর কি করব। আমরা ব্যবসায়ী না প্রকৃত কৃষক তাই আমরা জমি দেবনা।আরেক কৃষক কৃষ্ণ পদ বসাক বলেন আমাদের না জানিয়ে প্রশাসন জমি মাপতে আসে।আমরা বাধা দিলে আমাদের টানা হ্যাচরা করে পুলিশ।ভয়দেখিয়ে বলা হয় ফরকারে গুলি চলবে। তিনি বলেন পুলিশ যতই ভয় দেখাক আমরা জমি দেব না।এদিন গ্রামের সব মহিলা ঝাটা হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন।পুরুষ পুলিশ মহিলাদের টানা হ্যাচড়া করলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে।সুমতিবালা বসাক নামে আরেক কৃষক রমনী বলেন আমরা জমি দেব না। মমতা ব্যানার্জি যদি পুলিশ লেলিয়ে জোর করে জমি নেয় তাহলে তিনিও ক্ষমতায় থাকবেন না। উল্লেখ্য গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে এই জমি জট পাকিয়ে রয়েছে।ইতিপূর্বে আরও কয়েকবার ভেমটিয়া ঝুমুর এলাকায় মহা সড়কের কর্মী আধিকারিক সহ শাষক দলের নেতারা কৃষক দের তাড়া খেয়ে পালিয়ে আসেন। তৎকালীন বিধায়ক সহ শাষক দলের অনেকেই কৃষক দের রীতিমতো হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে জমি দেবার চাপ দেন।সব গ্রামের কৃষকদের অনেকেই অভিযোগ করছেন ইতিমধ্যে জমি দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এদিনের জমি মাপজোক কে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও ফের প্রশাসনিক আধিকারিকরা এদিন ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।গ্রামের কৃষকরা অনুমান করছেন অচিরেই জমি নিতে প্রশাসন ফের ঝাঁপিয়ে পড়বে। যে সমস্ত কৃষকের জমি এই প্রকল্পের মধ্যে পরছে তারাও নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেছেন প্রতিবাদ প্রতিরোধের ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।