দেবু রায়, চিন্তন নিউজ, ১৮ জানুয়ারি: যাদবপুরে শ্রমজীবী রান্নাঘর , শ্রমজীবী সবজি বাজারের সাথে শুরু হলো চাল ডাল আটা সহ চোদ্দটি নিত্য প্রয়োজনীয় কম দামে বিতরন করে সাধারন মধ্যবিত্ত মানুষকে একটু রিলিফ দেবার। হ্যাঁ, এটা শুরু হয়েছে গাঙ্গুলি বাগানে লুনা বেকারীর সামনে। সরকারে না থেকেও তারা এটা দেখিয়ে দিচ্ছে।
যে কৃষি বিল আনা হয়েছে, সেটা শুধু অন্ন দাতাদের ক্ষতি করবে না, সাধারন আম জনতার উপরও ক্ষতি আসবে। নয়া কৃষি বিল শুধু মাত্র লাভ হবে কর্পোরেটদের, সেখানে শুধু কৃষকরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নয়, ছাপোষা মধ্যবিত্তদেরও ছাড় নেই। কারন এত দিন পর্যন্ত চাল, আটা সহ চোদ্দটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য যত খুশি মজুত করতে পারা যেত না। কিন্তু এই বিল সেই সব তুলে দিয়েছে। ফলে যত খুশি মজুত করে, বাজারে কৃত্তিম অভাবের সৃষ্টি করে লাভের অঙ্ক বাড়ানো যাবে। যেমনটি দেখা গেছে আলুর ক্ষেত্রে।
যে দিন থেকে এই বিল পাস হলো তারপর ৩০ টাকার পেঁয়াজ হলো ৬০-৭০ টাকা, ১১০ টাকার সর্ষের তেল আজ ১৪০ টাকা , মুসুর ডাল ৯০ টাকা থেকে আজ ১২০ টাকা। নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় আগামী কিছু দিনের মধ্যেই এইগুলার কোনটা ১৮০, কোনটা ২০০ টাকা দাম হবে, আর মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন যুক্তি শুনানো হবে। কিন্তু সিপিআইএম চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বিকল্প পথ। সেই বিকল্পে বাজার দর আটা ২২ টাকা কেজি, মিনিকেট চাল ৩৭ টাকা, সর্ষের তেল ১২০ টাকা। এখন প্রশ্নটা হল, যারা সরকারে নেই তারা যদি পারে, তাহলে সরকার কেন পারবে না?
চন্দনা বাগচী: বাটা-মহেশতলা এরিয়া কমিটির অন্তর্গত প্রায় সকল শাখায় গত ৯ জানুয়ারি থেকে গণ স্বাক্ষর অভিজান কর্ম সূচি পালন করা চলছে। চলবে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত। একদিকে জিনিসের দাম কমানো, বিদ্যুৎ বিলের দাম কমানো, কৃষি বিলের বিরুদ্ধে সই সংগ্রহ করা। এর জন্য এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে এলাকার প্রতিটি মানুষের কাছে যাওয়া হচ্ছে।
রমা চক্রবর্তী: জয়নগর অঞ্চলে প্রতিটি পাড়া এবং মহল্লায় গণ স্বাক্ষর অভিযান শুরু হয়েছে। আজ জয়নগর অঞ্চলে কৃষি বিল পোড়ানো হয়। মহিলাদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতন।
ডালিয়া চ্যাটার্জি: গড়িয়া ব্রিজের নিচে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে কৃষি বিলের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।