শঙ্কর কুশারী: চিন্তন নিউজ:২২শে সেপ্টেম্বর:- লকডাউনের সময়কালে কড়া বিধিনিষেধের জালে আটকে ছিল বামপন্থী সাংস্কৃতিক কর্মীরা। যদিও বামপন্থীরা আর্ত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা চালিয়েছে প্রাণপন। শিল্পীদের শিল্পীসত্তা ছিল শৃঙ্খলিত, প্রেক্ষাগৃহ ছিল বন্ধ । প্রায় ছ’মাস পর বন্দীদশা ঘুচলো সরকারি বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার মধ্য দিয়ে। খোলা আকাশের নীচে কর্মসূচি পালনের শৃঙ্খল মোচন হোলো। এবার নতুন এক আরম্ভের প্রস্তুতির ডাক দিলেন তাঁরা।

সাংস্কৃতিক কর্মীদের মুখর ও সৃষ্টিশীল থাকতে হবে সঙ্গীত , নাটক, নৃত্য কবিতা ও কথায়। এই আহ্বান নিয়ে এদিন রাজ্যজুড়ে একত্রিত হয়েছিলেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা। গতকাল সন্ধ্যায় চন্দননগর বাগবাজার মোড়ে এই উদ্দেশ্যে মিলিত হন সংস্কৃতি কর্মীরা। অনিয়ন্ত্রিত লকডাউনে জেরবার দূর্গত মানুষের হাজারো সমস্যার মধ্যে প্রতিবাদী কন্ঠস্বরকে রুদ্ধ করে, গণতন্ত্রের চতূর্থ স্তম্ভকে ভূলুন্ঠিত করে পরিবর্তণ করা হয়েছে শ্রম আইন, কৃষি আইন এবং পরিবেশ আইনের । এগুলি সরাসরি আঘাত হেনেছে শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকায়। এই উদ্যোগে বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন গনতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘ, ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘ এবং আদিবাসী সংস্কৃতি পরিষদ। বজ্রনিনাদ ধ্বনিত হয়েছে প্রতিবাদের মিলিত কন্ঠস্বরে।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডঃ হিরন্ময় ঘোষাল,ডঃ প্রবুদ্ধ ঘোষ,অধ্যাপক স্বপন চট্টোপাধ্যায় ,সুবীর মিত্র সহ আরও অনেক আবৃত্তিকার, কবি, নাট্যকার,সঙ্গীত লিল্পী প্রমুখ সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষ।

