সীমা বিশ্বাস, আসাম:– চিন্তন নিউজ:২৪ শে মে:– অসমের নগাও জেলার বটদ্রবা থানার অন্তর্গত ধিং অঞ্চলের ছলনা বড়ি গ্রামের একজন যুবকের পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয়। ছলনা বডি গ্রামের পোনা মাছ ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম নামের যুবককে ২০ মে তারিখে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ শফিকুলের পত্নীকে বলেন যে একটা হাঁস এবং ১০ হাজার টাকা দিলে শফিকুলকে মুক্তি দেওয়া হবে। রাতের মধ্যে পত্নী প্রথমে টাকা যোগাড় করতে না পেরে একটি হাঁস থানাতে নিয়ে আসে। কিন্তু পুলিশের দাবি পূরণ না হওয়ায় পত্নীর সামনেই সফিকুলকে পুলিশ নৃশংসভাবে মারধর করে।পত্নী পরের দিন রাত্রে টাকা যোগাড় করে থানায় যখন নিয়ে যায় তখন পুলিশ বলে শফিকুলকে চিকিৎসালয়ে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু পত্নীসহ আত্মীয়রা শফিকুলকে মৃত অবস্থায় পোস্টমর্টেম কক্ষে দেখতে পায়।
এই ঘটনা জানার পর শফিকুলের গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।একাংশ লোক বটদ্রবা থানাতে এসে প্রতিবাদ করার সঙ্গে সঙ্গে থানায় অগ্নিসংযোগ করে ছারখার করে।সিপিআইএম ও রাজ্য কমিটি শফিকুল ইসলামের মৃত্যু এবং একাংশ দুষ্কৃতীদের দ্বারা পুলিশ থানায় অগ্নিসংযোগ করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং সমস্ত ঘটনা উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করে। উদ্বেগজনক ঘটনা যে ২২ মে তারিখে থানা আক্রমণের প্রতিশোধ হিসেবে পুলিশ আইন সম্পূর্ণ নিজের হাতে তুলে নিয়ে কোনো বাছবিচার না করে স্থানীয় লোকদের ঘর-দুয়ার নির্মমভাবে ভেঙে চুরমার করে উচ্ছেদ অভিযান আরম্ভ করে।এই অঞ্চল বাসীদের পুলিশ দখলদারি, সন্দেহযুক্ত নাগরিক, বাংলাদেশী ,জেহাদী ইত্যাদি আখ্যা দিয়ে রাজ্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় উৎপীড়ন অত্যাচার আরম্ভ করে।।
আধুনিক সভ্য সমাজে সংখ্যালঘু একাংশ লোকের উপর এইভাবে আইনবিরুদ্ধ কাজ করা গ্রহনযোগ্য নয়। সিপিআইএম দল ন্যায়িক তদন্তের দাবি জানানোর সঙ্গে সঙ্গে দোষী পুলিশ এবং থানায় অগ্নিসংযোগ করা দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায় এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার দাবি উত্থাপন করে।