রাজ্য

প্রয়াত হলেন প্রবীণ কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (Communist Party of India) বা CPI-এর নেতা এবং প্রাক্তন সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত।


নিউজ ডেস্ক: চিন্তন নিউজ: ৩১শে অক্টোবর:—প্রয়াত হলেন প্রবীণ কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (Communist Party of India) বা সিপিআইএর নেতা এবং প্রাক্তন সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত (Gurudas Dasgupta)। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন এই প্রবীণ নেতা। বৃহস্পতিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। গুরুদাস দাসগুপ্ত রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী এবং কন্যাকে।

গত কয়েক মাস ধরেই ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন গুরুদাস দাসগুপ্ত। তিনি (গুরুদাস দাশগুপ্ত) বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় কলকাতায় নিজের বাসভবনেই প্রয়াত হয়েছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন। শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে তিনি দলীয় পদও ত্যাগ করেছিলেন। তবে সিপিআইয়ের জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন গুরুদাস দাসগুপ্ত,”

গুরুদাস দাশগুপ্ত দক্ষ বাগ্মী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস বা AITUC-র একজন অভিজ্ঞ ট্রেড ইউনিয়ন নেতা ছিলেন এই মানুষটি।

গুরুদাস দাশগুপ্তর প্রয়াণে শোকাহত রাজনৈতিক মহল। ‘‘সাংসদ এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতা হিসেবে ওঁর অবদান মনে রাখবে দেশ।’’ শোকবার্তা পাঠিয়েছেন প্রায় সব দলের রাজনৈতিক নেতানেত্রীরা। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ সিপিআইএম-এর তরফেও শোকবার্তা জানিয়ে টুইট করা হয়েছে।

এ বছরের অগাস্টে অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। চেতলার বাড়িতে হাঁটতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তখন জানা গিয়েছিল মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। এছাড়াও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যাও ছিল। কিডনির সমস্যাতেও ভুগছিলেন তিনি।

গুরদাস দাসগুপ্ত ২০০১ সালে সিপিআই-এর শ্রমিক সংগঠন এআইটিআইসির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন । টানা ১৭ বছর এআইটিইউসির শীর্ষ পদে থাকার পর অব্যাহতি নেন তিনি। স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে তিনি সরে দাঁড়িয়েছিলেন।

সংসদীয় রাজনীতিতে গুরুদাস দাশগুপ্তর প্রবেশ ১৯৮৫ সালে। ওই বছরই রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন। এর পর ২০০৪ সালে পাঁশকুড়া থেকে জিতে লোকসভার সাংসদ হন। পরের বার লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে তিনি পাঁচ বারের সাংসদ ছিলেন।এহেন নেতার মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া। বামদলগুলো অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হ’ল প্রবীণ নেতাকে হারিয়ে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।