সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ১৩ সেপ্টেম্বর: এবার আরও চিন্তায় ফেললো কোভিড -১৯। সম্পূর্ণ অন্য রোগ নিয়ে এক নার্সিংহোমে আসেন। তিনি ক্যান্সার রোগে ভুগছিলেন এবং তার অস্ত্রোপচার করা খুব দরকার হয়ে পড়েছিল। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ রোগীকে কোভিড টেস্ট করিয়ে আনতে বলেন। কোভিডের কোন উপসর্গ ছিল না তার। কিন্তু আরটি পিসিআর টেস্ট করে পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ডাক্তার তাঁকে ১৪ দিনের আইশোলেশনে পাঠান। ১৪ দিন পর আবার রোগী হসপিটালে আসেন এবং আবার তাঁর টেস্ট করানোর কথা বলা হয়। এবারেও কোন উপসর্গ নেই অথচ কোভিড আক্রান্ত। এই ভাবে তিন মাস কেটে গেছে তবুও রোগী করোনা পজিটিভ। বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের চিকিৎসরা এই নিয়ে গভীর পর্যালোচনা করেছেন কিন্তু কোন উপায় বের হয়নি।
বিভিন্ন জায়গায় কোভিড রোগীরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাই রোগীর পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। কোভিড রোগীরা প্রতিবেশীদের হেনস্থার মুখে পড়ছেন এমনকি মারধর করা হচ্ছে, বাড়ীতে বা পাড়ায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এক কথায় একঘরে করে রাখা হচ্ছে। শুধু এই রোগীর ক্ষেত্রেই নয় আরও এক রোগীর ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটেছে। ওই রোগীকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয় কোভিড সন্দেহে। কিন্তু কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে দু’বার টেস্ট করা হয় আর দু’বারই তার নেগেটিভ আসে রিপোর্ট। তাই ওই রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাড়ীতে এসে শরীর খারাপ লাগলে এবার ঐ রোগীকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেসরকারি হসপিটালে কোভিড টেস্ট হলে এবার আশ্চর্যজনক ভাবে তা পজিটিভ আসে।
এমন ঘটনাও ঘটছে যে কোভিড সেরে যাওয়ার ২৮ দিন পর টেস্ট করালে তা পজিটিভ আসছে।অথচ এই কলকাতা শহরে ষাট বছর বয়সী রোগী কোভিড জয় করে বাড়ী ফিরেছেন।কোমরবিটি রয়েছে এমন রোগী, ভেন্টিলেশনে থাকা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন। চিকিৎসকদের মতে ভ্যাকসিন না বেরোনো পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়ার কোন সুযোগই নেই। আবার অনেক চিকিৎসক বলছেন কোভিডের অ্যান্টিবডি তিনমাস পর্যন্ত বেঁচে থাকে। সুতরাং কোভিড নিয়ে নিশ্চিন্ত হবার কোন উপায় নেই।