দেশ বিদেশ

কোভিড ১৯ এর নিরাময়ের খোঁজে বিশ্বব‍্যাপী প্রয়াসের একটা সারাংশ।।


চিন্তন নিউজ ওয়েব ডেস্ক, চৈতালি নন্দী, ২৭ শে মার্চ:গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক মাধ‍্যমে SARC2,COV2  ভাইরাস এর মতো একই ধরণের অসুখ কোভিড ১৯ সম্বন্ধে বিভিন্ন বিভ্রান্তি মূলক প্রচার হয়ে চলেছে।নিরাময় মূলক বিভিন্ন ওষুধ ,ভ‍্যাকসিন যা আজও পর্যন্ত পরীক্ষিত হয়নি ,এবং যেগুলো কিছু টা সফল হয়েছে ,সে সম্বন্ধে বিশ্বস্ত সূত্র প্রাপ্ত তথ‍্যগুলি এখানে পরিবেশন করার চেষ্টা করছি।
২৬ তারিিিখ পর্যন্ত ৩লক্ষ্যের বেশী মানুষ কোভিড১৯এ সংক্রামিত ৪৮৬০৩৯ জন, এর তার মধ‍্যে সেরে উঠেছেন ১১৪৭১৩ জন এবং তার মধ‍্যে মৃত‍্যু হয়েছে ২২০২০ জনের।বিশেষজ্ঞ দের পর্যবেক্ষণ ও পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে যে, প্রকৃত সংক্রামিত মানুষের সংখ‍্যার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সবসময়ই ‘কার্ভ’এর বিপজ্জনক পর্যায়ে অবস্থান করছি।

এখনও অবধি ফার্মাসিউটিক্যালস/বায়োটেক উদ‍্যোগ তিন প্রকারের।: রোগ নির্ধারণ, রোগ প্রতিরোধ, এবং রোগের উপশম। এই তিনটি বিষয়ই আমাদের আলোচ‍্য। রোগনির্ধারণ– দ্রুত এবং সঠিক সময়ে এই রোগের বিস্তার ঠেকানোই মূল চাবিকাঠি।এবিষয়ে আশার কথা যে সম্প্রতি অনুমোদিত ও উদ্ভাবিত পরীক্ষায় এক ঘন্টার মধ‍্যেই ফল পাওয়া যাচ্ছে। যাতে রোগ নির্ধারনণর জন‍্যে অপেক্ষার প্রহর কমছে এবং এর ফলস্বরূপ রোগীদের দ্রুত চিকিৎসার ব‍্যাবস্থা করা যাচ্ছে যাতে বাড়ছে উপশমের সম্ভাবনা।
             

প্রতিরোধ— যেহেতু এটা ভাইরাস ঘটিত রোগ তাই প্রতিরোধে র বিষয়টি মূলত নির্ভরশীল ভ‍্যাকসিন উদ্ভাবনের উপর। ভ‍্যাকসিন টি কার্যকরী তাদের ক্ষেত্রে ই যাদের রোগটা হবার সম্ভাবনা আছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়নি। ঠিক এই সময়ে দাঁড়িয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভ‍্যাকসিন তৈরি করতে সময় লাগবে প্রায় এক বছর। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা এই গবেষণা প্রক্রিয়ায় জড়িত।এদের মধ‍্যে অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে, ‘The Coalition For Epidemic Preparedness Innovations.(CEPT).  CEPT  আরও কতোগুলো ফার্মাসিউটিক্যালস ও বায়োটেক কম্পানির সঙ্গে এই ভ‍্যাকসিন দ্রুত তৈরির উদ‍্যোগ নিয়েছে। তবে একথা মনে রাখতে হবে যে মানব শরীরে এই ভ‍্যাকসিন এর পরীক্ষা এবং মানুষের প্রয়োজনে বাজারে সহজলভ্যতা এক নয়। বাজারে এটা ছাড়ার আগে এই ভ‍্যাকসিন কে বহু স্তরের পরীক্ষার মধ‍্যে দিয়ে যেতে হবে ,যা সময়সাপেক্ষ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৭টি, চীনে ২টি,জার্মানি তে ২টি ,ফ্রান্স ,অস্ট্রেলিয়া ,কানাডা ও ইসরাইলের একটি করে কোম্পানি এই গবেষনায় লিপ্ত। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ,চীন এবং সুইডেনের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
            

রোগের উপশম–প্রতি ৬জন সংক্রামিত ব‍্যাক্তির মধ‍্যে একজন নিউমোনিয়া জনিত চরম শ্বাসকষ্টের মধ‍্যে পড়ে সমস্যার মধ‍্যে পড়ে। এই নিউমোনিয়ার ধরন  সাধারণ নিউমোনিয়া র থেকে আলাদা ,এক বিশেষ ধরনের।এর উপশমের ক্ষেত্রে সম্প্রতিক কালে একটা উপাদান (কম্পাউন্ড) (AVIGAN) ক্লিনিকাল পরীক্ষায় কিছুটা ফলদায়ী হয়েছে চীনের ক্ষেত্রে।এটিকে নিয়েই বর্তমানে গবেষণা চালাচ্ছে জাপান ,ইউএসএ এবং চীন।
                      

বর্তমানে রোগ নির্ধারন ,উপশম এবং ভ‍্যাকসিন উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ১১৬ টি পরীক্ষা চলছে ,যার মধ‍্যে ৮১ টা’ ইন্টারভেনশানাল’।
এই আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে সারা পৃথিবীতে এই সংক্রামক ব‍্যাধি নিয়ে সমস্যা র দ্রুত সমাধানে কি ধরণের প্রয়াস চলছে। আশা করা যায় খুব শীঘ্রই আমরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি র পথ খুঁজে পাবো।যতোদিন না উপশম এবং প্রতিষেধক বার হচ্ছে ততোদিন আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ  হচ্ছে কিছু সুরক্ষামূলক ব‍্যাবস্থা ; সামাজিক দূরত্ব ,মুক্ত পরিবেশ বর্জন, এবং নিয়মিত বার বার হাত ধোওয়া।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।