দীপশুভ্র সান্যাল:জলপাইগুড়ি,চিন্তন নিউজ:১২ জানুয়ারী, ২০২৫:- ৩১ তম জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসের জাতীয় স্তরের আসর আয়োজিত হলো মধ্যপ্রদেশের ভোপাল শহরের রবীন্দ্র ভবনে । ২৮ টি রাজ্য ও ৮ টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ১০- থেকে ১৭ বছর বয়সী ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা অংশগ্রহণ করছে তাদের গবেষণালব্ধ প্রকল্প নিয়ে। এছাড়াও অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা যেমন কাতার, কুয়েত, বাহরেইন, ইউ-এ-ই, । এই শিশু বিজ্ঞান সম্মেলন আয়োজিত হয় ৩ জানুয়ারি থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত রবীন্দ্র ভবনে । ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করে যে প্রকল্প তৈরি করেছে, সেটা তারা বিচারকদের সামনে উপস্থাপনা করে । এছাড়াও দেশের বিজ্ঞানীরাও দেখেন তাদের গবেষণা পত্র এবং পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তৈরি করা বিভিন্ন বিজ্ঞান মডেল। উল্লেখ্য প্রতি বছর জাতীয় শিশু বিজ্ঞান সম্মেলন আয়োজন করে থাকে ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর । সহযোগিতা করে প্রত্যেক রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর । তিনটি স্তরের এই সম্মেলনের মধ্যে জেলা থেকে রাজ্য ও রাজ্য থেকে জাতীয় স্তরে শিশু বিজ্ঞানীরা নির্বাচিত হয় । এবছর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য থেকে জাতীয় স্তরের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ৩০ জন শিশু বিজ্ঞানী। রাজ্য দলে জলপাইগুড়ি জেলা থেকে নির্বাচিত হয় ১ জন শিশু বিজ্ঞানী । ময়নাগুড়ি রোড হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী
ভগবতী মন্ডল। তার গবেষণার বিষয় ছিলো পার্থেনিয়াম আগাছা থেকে সার তৈরি করে সেটা চাষের উপযোগী করে তোলা। তার প্রশিক্ষক ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক সৌম্যজিৎ দে ।
রাজ্য দলে ছিলেন জলপাইগুড়ির জেলার কোঅর্ডিনেটর তথা জলপাইগুড়ি সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের সদস্য শ্রী গৌতম মাহাতো, রাজ্য কোঅর্ডিনেটর ডক্টর বাসোরি গুহ , রাজ্য সংগঠক, সায়েন্স কমিউনিকেটরস ফোরাম এর সম্পাদক শ্রী অভিজিৎ বর্ধন সহ ৮ জন এসকর্ট শিক্ষক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা হয় প্রভাত ফেরীর মাধ্যমে, উদ্বোধন করেন মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মোহন যাদব। ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডক্টর জিতেন্দ্র সিং , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর এর সচিব ডক্টর অভয় করন্দিকার, এছাড়াও ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের বিভিন্ন উচ্চ পদস্থ আধিকারিক সহ দেশের বহু বিজ্ঞানী। এই আসরে শিশু বিজ্ঞানীরা ভোপাল শহরের বিভিন্ন মিউজিয়াম ও প্রদর্শনী দেখার সুযোগ পেয়েছে । যা পেয়ে ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা ভীষণ আনন্দিত। এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলা দলের রবীন্দ্রনৃত্য সকল দর্শকদের মনোমুগ্ধ করে প্রসংশা কুড়িয়েছে ।
সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মধ্য প্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী মঙ্গুভাই সি প্যাটেল।
জলপাইগুড়ি সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের সম্পাদক ডক্টর রাজা রাউত জানান যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভবিষ্যতের প্রতিভাবান বিজ্ঞানী গড়ে তোলার উদ্দেশে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে ছাত্র ছাত্রীরা বিভিন্ন প্রকার গবেষণা, পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে যাতে সমর্থ হয় সেই উদ্দেশ্যেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর প্রতিবছর এই আসরের আয়োজন করে থাকে।
