চৈতালি নন্দী: চিন্তন নিউজ: ২২শে জুলাই:- সম্প্রতি আকষ্মিক ভাবেই হিউস্টন ও টেক্সাসে চীনা কনসুলেট অফিস বন্ধ করার নির্দেশ জারি করলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর উত্তরে চীনা বিদেশমন্ত্রক তাদের সোস্যাল মিডিয়ায় করা একটি বিবৃতিতে জানায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একতরফা ভাবে যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক আইন ও দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সৌজন্যচুক্তিকে গুরুতর ভাবে লঙ্ঘন করছে। চীন এই জাতীয় আপত্তিকর ও হঠকারী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এই অনৈতিক ও অবিবেচনা প্রসূত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়। তারা অভিযোগ জানায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভীতি প্রদর্শন, কর্মচারীদের হয়রানি ও জিজ্ঞাসাবাদ, এছাড়া বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি আটক ও বাজেয়াপ্ত করেছে, যা নাশকতামূলক। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে বলেও তারা জানায়।
আমেরিকা অভিযোগ জানায় চীন শুধু সেদেশের মেধা সম্পদ আত্মসাৎ করছে তাই নয় ,তারা সমগ্র ইউরোপের মেধাসম্পদ আত্মসাৎ করছে, যার ফলে বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ নষ্ট হচ্ছে।
দু’দেশের উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে এর অনেক আগের থেকেই। যখন ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি বার বার ধাক্কা খায় চীনের কাছে, বিশ্বজুড়ে মার্কিন আধিপত্যের বাণিজ্যরথ যখন রুখে দেয় চীন। সেই সময় থেকেই কৌশল বদলে কোভিড ১৯ ভাইরাসের জন্যে সুকৌশলে চীনকে দায়ী করতে থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হংকংয়ে জারি হওয়া নতুন সুরক্ষা আইনের বিরোধিতা করতে থাকে, যা একান্ত ভাবেই চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
ভিয়েনা কনভেনশন বলেছে, কূটনীতিকদের আন্তর্জাতিক আইন ও সিদ্ধান্তগুলির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে ও কোন রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
আসন্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে তৈরী হয় ব্লুপ্রিন্ট। সম্প্রতি জর্জ ফ্লয়েড হত্যায় দেশজুড়ে বর্ণবিদ্বেষী আন্দোলনকে পথভ্রষ্ট করতে , কোভিড মোকাবিলায় নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে, চীন বিদ্বেষকে কাজে লাগিয়ে সামরিক আধিপত্য কায়েম রাখতে, নির্বাচনের প্রাক্কালে যুদ্ধের আবহকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পেরোনোই যেখানে পাখির চোখ।