রাজ্য

বেকার যুবক যুবতী দের কাজের দাওয়াই মুখ‌্যমন্ত্রীর_


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:২৪শে অক্টোবর:–বেকার যুবক যুবতী দের কাজের দাওয়াই মুখ‌্যমন্ত্রীর_ রাজ্যে কাজের দুর্দশা আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় বাতলে দিয়েছেন তিনি ।। বলেছেন রাজ্যে কাজের কোন অভাব নেই।। যে কেউ ইচ্ছে করলেই রোজকার করতে পারে।। কিন্তু কি ভাবে??? বলেছেন একটা টূল জোগাড় করে নিয়ে আর একটা চায়ের কেটলি আর একশোটা মাটির ভাঁড় আর কিছু কাপ নিয়ে বসে পড়লেই হলো,ব্যাস চা বানিয়ে রোজগার শুরু করে দাও। বলেছেন যদি চা বানাতে শুরু করে ছেলে মেয়েরা তবে লোকজন আপসে চা খেতে চলে আসবে।।। শুধু তাই নয় ঘুঘনিমুড়ি বিক্রি করে কিভাবে আয় করা সম্ভব তাও বাতলে দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি।। মোদীর আমলে দেশে যে কাজের হাহাকার পড়েছে তাকে মুখ‌্যমন্ত্রী একদমই আমল দেননি। না দিয়ে তিনি জানিয়েছেন””আজকাল কাজ করতে চাইলে কাজের কোন অভাব নেই।

শিলিগুড়ির বৈঠকে চা বাগানের সমস্যার কথা উঠেছিল। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যা বললেন তাতে বেশ বড়সড় ঝামেলা বাধার সম্ভাবনা রয়েছে।। তিনি বলেন “চা বাগান সামনে রেখে সেখানে প্রোমোটিং করতে পারেন অন্য কিছু করতে পারেন হার্টিকালচার এ্যলাও করছি। ট্যুরিজম করতে পারেন। অন্য অনেক কিছু করতে পারেন।।বলছি তো অ্যলাও করছি”””…… তার এই ঘোষণায় চা বাগান মালিক দের খুব খুশী , হতে দেখা যায়।। এদিন যে বৈঠক হয় সেই বৈঠকে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি , কোচবিহার জেলার প্রসাশনিক অফিসাররা জানিয়েছেন , একশো দিনের কাজের হাল খুব খারাপ।। তখন তিনি বলেন “””এই সব অভিযোগ আমি আমাদের মুখ্যসচিবের কাছে দিয়ে দিচ্ছি। এদিনের বৈঠককে মুখ্যমন্ত্রী সরকারের একটি ব্যর্থতা স্বীকার করেছেন“”–“সরকারের অনেক কাজ। কিন্তু কেউই জানতে পারে না।। এবার সরকারকে প্রচারে যেতে হবে।। সরকারের দোষ আমরা জানতে পারিনি

তাহলে প্রশ্ন উঠে গত আট বছরে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া যে সরকার এর বিজ্ঞাপনে রাজ্য ছেয়ে গেছে।। তাহলে কি মানুষের করের টাকায় যা করা হলো তার সবটাই কি জ্লে গেল।। এদিন জেলা ধরে ধরে মুখ্যমন্ত্রী আইন শৃঙ্খলার অবনতির কথা তুলে ধরেন।। বলেছেন“”একটি ঘটনা ঘটবে আর পুলিশ যাবে না, ঘুমাবে তা হবে না। পুলিশ মন্ত্রীর মুখে পুলিশের ঘুমানোর কথা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।।

শুধু জলপাইগুড়ি জেলায় ১৫৮ টি আইনশৃঙ্খলা সম্পর্ক এ জমা পড়েছে।। পুলিশ এই ঘটনা তে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে স্বীকার করে নেন মুখ্যমন্ত্রী।। তিনি বলেন আগামী চার দিনের মধ্যে অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের ডিজিকে নির্দেশ দেন।।। এছাড়া জলপাইগুড়ি যে ৩২ টি জমি নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।। আলিপুরদুয়ার এ ১৪৮ টি অভিযোগ আছে। একটি অভিযোগ ও খতিয়ে দেখে পুলিশ কোনো তৎপরতা দেখায় নি।। এদিন কোচবিহার জেলার বৈঠক টি শুরু হয়।। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন জবকার্ড থাকা সত্ত্বেও মানুষ কাজ পাচ্ছে না। আধিকারিক রা। ঠিক মত ক্যাম্প্পে বসছেন না তাই ভোটার তালিকাতে নাম তুলতে মানুষ হিমসিম খাচ্ছে।। উনি যতই বলুন না কেন ভোগান্তি চরমে পৌঁছে গেছে মানুষের।।।।__


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।