দেবু রায়: চিন্তন নিউজ: ১লা এপ্রিল:– লক ডাউন পিরিয়ডের সময়ে যারা দিন আনে, দিন খায় . যেমন কুলি, বা ভ্যানওয়ালা ইত্যাদি , বাম ছাত্র যুবসহ অনেক রাজনৈতিক দল সাধ্য মতো মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে , কিছু অরাজনৈতিক মানুষও চেষ্টা করছেন যেতে অভুক্ত মানুষ অন্তত পক্ষে কিছু খেতে পারে . এটা অবশ্যই সমাজের পক্ষে ইতি বাচক দিক কিন্তূ একটা বিরাট সংখ্যক অংশ আছে এই সমাজে তাঁদের কথাটা কেউ বলছে না , জানেন কি কলকাতার সংলগ্ন কয়েকটা জেলা যেমন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা , বা হুগলী , বা উত্তর চব্বিশ পরগনা , হাওড়া এই পাঁচটি জেলাতে কত অসংখ্য খাটাল আছে তাঁদের দুরাবস্থার কথাটা ? , এদের কি অবস্থার কথাটা .
যে পাঁচটি জেলার কথা বলা হয়েছে সেখানে কম করে একলাখের উপর পরিবার আছে যাদের জীবিকা শুধুমাত্র খাটাল করে এবং দুধ বেঁচে সংসার প্ৰতি পালন করে। তাঁদের উৎপাদিত দুধ মূলত বিক্রি করে জেলার মিষ্টির দোকান গুলোতে এবং যে পয়সা পায় তা দিয়ে নিজেদের খরচ চালায় এবং গরুর খাবার ( cattle ফিড ) এবং অসুস্থ ( গরু বা মোস ) ঔষধ , ডাক্তারের খরচ চালায় . কিন্তূ লক ডাউন এর পরবর্তী কালে তাঁদের খাটালে উৎপাদিত দুধ সম্পূর্ণ ফেলে দিতে হচ্ছে কারন সমস্ত মিষ্টির দোকান বন্ধ দুধ কিনবে কে অতো দুধ কোনো খরিদ্দার নেই , যার নেট ফল হ’ল অর্থের অভাব অনেকেই আছে নিজেদের বাড়ির চাল ডাল টুকুও নেই , তার উপর গরুকে খাওয়া নর দানা অর্থাৎ ক্যাটল্ ফিড এর সাপ্লাইও নেই, না মালিক খেতে পারছে না তাঁদের খাটালের পশুরা খেতে পারছে। এখানেই প্রশ্ন সরকার কি এটা জানেনা?. যদি না জানে তবে এই অজ্ঞতার জন্য দায়ী কে? মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা যাচ্ছে, অনেক কিছু করছেন। কখনও মিটিং করছেন আবার কখনও বা বাজারে দাগ কাটছেন, কিন্তু এই অসহায় খাটাল ওয়ালাদের জন্য কি ওনার কিছু করার নেই , হাজার হোক এটাও তো একটা ইন্ডাস্ট্রি . এটাকে কি বাঁচানো যায় না?. আর সাথে কত মানুষের রুটি রোজগার নির্ভর করে সেটা জানেন কি?? .
এরপর আর একটা এগ্রোবেসড ইন্ডাস্ট্রির হলো পোল্ট্রি অনেকে হয়তো জানেন না যে গ্রামে অসংখ্য পরিবার আছে যারা পাঁচশো বা হাজার মুরগির ফার্ম করে সংসার চালায় , ওদেরও একই সমস্যা মুরগিকে খাবার দিতে পারছে না , ভাবা দরকার ঐ গরিব মানুষ গুলোর কি অর্থনৈতিক অবস্থায় আছে , দুঃখের কথা যখন দেখা যায় সরকার শুধু প্রচার নিয়ে ব্যস্ত, কিন্তূ যাদের কথা উল্লেখ করা হ’ল তাঁদের কথা কি সরকার বা মিডিয়ার মনে পড়েনা? না কি মিডিয়া ভয় পাচ্ছে ওসব লিখলে সরকারের রোষানলে পড়তে হবে , বিজ্ঞাপন এর নাম নিয়ে আয়ের উৎসটা বন্ধ হয়ে যাবে ,
( ক্রমশ )