সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১০ই সেপ্টেম্বর:- এই সদ্য ৫ ই সেপ্টেম্বর করোনা আবহাওয়ার মধ্যেই পালিত হলো শিক্ষক দিবস। সকল মানুষ এবং ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের শিক্ষকদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন , নানারকম উপহার আদান প্রদান হয়েছে। ব্যাস দিন শেষ বেশীরভাগ ছাত্র-ছাত্রীদের মন থেকে শিক্ষকদের প্রতি ভালোবাসাও উধাও।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অতি সম্প্রতি ঘটে গেছে অনভিপ্রেত এক ঘটনা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপিকা মেরুণা মূর্মূ তাঁর নিজস্ব মত প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, এই করোনার সময়টাতে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা না হওয়ায় ভালো। আগে ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা উচিত, এতে যদি একটা বছর নষ্ট হয় হোক। আর তাতেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে বেথুন কলেজের এক ছাত্রী।ছাত্রীটির নাম পারমিতা ঘোষ। সে বলে অধ্যাপক মেরুনা মূর্মূ বাড়ীতে বসে বসেই মাইনের টাকা পেয়ে যান। তিনি “কোটা” তে চাকরি পেয়েছেন, তাঁর দশ বছর নষ্ট হলেও কিছু যায় আসে না। মেরুনা মূর্মূর জাত তুলে অকথ্যভাষায় কথা বলা শুরু করে। যদিও সেই মেয়েটি এই কথাগুলো অস্বীকার করেছে। তবে রাজ্যের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সকল মানুষ , শিক্ষক মহল, এমন কি প্রবাসীরাও অধ্যাপিকা মেরুণার পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু ঐ মেয়েটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাস্তি পেয়েও কোন অনুশোচনা তার মধ্য দেখা যায়নি। ক্ষমা চাওয়া তো দুরের কথা, এরপর ফেসবুকে সে ” সাঁওতাল,মূর্মূ”” ইত্যাদি নানা ধরনের অপমান জনক কথা লিখে পোষ্ট করে বলে শোনা যায়। পরে পোষ্টটি নিয়ে সমালোচনা হতেই পোস্ট টি তুলেও নেয় এই ছাত্রী।
স্যোশাল মিডিয়াতে যখন পারমিতার পোস্টটি নিয়ে হৈচৈ পড়েছে তখন বেথুন কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপকগণ তাকে ডেকে পাঠান এবং শাস্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
অধ্যাপক মেরুনা মূর্মূ জানিয়েছেন অনেক মানুষের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহায্য তিনি পেয়েছেন। কিন্তু কিছু মানুষ আবার পারমিতাকেও সমর্থন করেছেন। তা নিয়ে অবশ্য মেরুণা মূর্মূর কোন বক্তব্য নেই।
একটা প্রশ্ন বারবার আসছে সাধারণ মানুষের মনে একজন শিক্ষিকার জাতপাত নিয়ে অপমান করছে ছাত্রী বা ছাত্ররা। এতে কি শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ভালোবাসা র সম্পর্ক টা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে না? এভাবেই চলতে থাকলে হয়তো শিক্ষক ছাত্র সম্পর্কে আরও ফাটল ধরতে বাধ্য। অন্ধকারে ঢেকে যাবে শিক্ষাব্যবস্থা।