চিন্তন নিউজ, কল্পনা গুপ্ত, ৬ ই অক্টোবর – হাতরাসে মণীষা বাল্মিকী ধর্ষণ কান্ডের ধর্ষকদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে পথসভা ও মোমবাতি জ্বালানো হয় পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন স্থানে। কেতুগ্রামের ভুলকুরি, পূর্বস্থলী পিলা শাখার উদ্যোগে পাটুলী স্টেশন বাজারে, জামালপুর ২ এরিয়া কমিটির পাঁচরা বাজারে বক্তব্য রাখেন যুব নেত্রী সুরভি টুডু, সিটু নেতা বসন্ত পাকরে, কৃষক সভার নেতা মহাদেব হালদার। একই কারণে সিপিআই(এম) ও কংগ্রেস যৌথ উদ্যোগে ভাতার বাজার ও নাসিগ্রাম মোড়ে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সুভাষ মন্ডল, জাতীয় কংগ্রেস নেতা তপন সামন্ত, সি পি আই নেতা অসিত হাজরা।
কাটোয়া ২ এর খাসপুর ব্রীজে শহীদ কার্তিক মন্ডলের স্মরণ সভায় স্মৃতিচারণ করেন কৃষক সভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার, কাটোয়া ২ এর এরিয়া কমিটির সম্পাদক অনিন্দ্য মন্ডল ও পার্টি রাজ্য কমিটির সদস্য তপন কোনার।
ডি অয়াই এফ আইয়ের রায়না আঞ্চলিক কমিটি সেহারা ইউনিটের উদ্যোগে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয় মিরেপোতার বটকৃষ্ণ কেশ স্মৃতি ভবনে। পতাকা উত্তোলন করেন গৌতম হাউলিক,উপস্থিত ছিলেন যুব জেলা সম্পাদক অয়নাংশু সরকার, জেলা সভাপতি কম: স্বর্ণেন্দু দাস, জেলা সদস্যা মিতা মালিক , রায়না আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক দেবমাল্য চ্যাটার্জী।
মেমারী-২এর সাতগাছিয়া ২ পঞ্চায়েতে শ্রমিক ও কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে ডেপুটেশন দেওয়া হয় শ্রমিকদের বকেয়া বেতন দেবার দাবিতে, ১০০ দিনের কাজ সবাইকে দিতে হবে এই দাবিতে। বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, তাপস বসু।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বহু সমর্থক।
দয়ার দান নয় বোনাস শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার- এই দাবিতে আজ সিটু পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির ডাকে জেলা শাসককে ডেপুটেশন দেয় বর্ধমান শহর, মেমারি, রায়না, খন্ডঘোষ, ভাতার ইত্যাদি জায়গা থেকে শত শত শ্রমিক লাল ঝান্ডা কাঁধে নিয়ে বর্ধমান স্টেশন থেকে মিছিল করে। কার্জনগেটে বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন সিটু নেতা আভাস রায়চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত কোনার। নেতৃত্ব বলেন এই করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সারা জেলায় সংগঠিত , অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের বোনাস না দেওয়ার পরিকল্পনা করছে মালিক পক্ষ। এক ভয়াবহ বিপদের মুখে শ্রমজীবী মানুষ। মোদী সরকার দেশের একটার পর একটা রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পকে বেচে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। রেল , কয়লা , সব বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সারা দেশে এই সময় কয়েক লক্ষ্য শ্রমিকের কাজ চলে গেছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ নেই। রাজ্যের মমতা ব্যানার্জির সরকারও একই নীতি নিয়ে শ্রমিকদের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনছে। বোনাস যাতে না দিতে হ য় সেই চক্রান্ত চলেছে। এই মিছিল থেকে দাবি ওঠে পূজোর আগে সমস্ত শ্রমিকদের সরকারী নিয়ম অনুযায়ী বোনাস দিতে হবে। আগামী দিনে এই দুই অপদার্থ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই- এর অঙ্গীকার নেয় শ্রমিকরা। শেষে জেলা শাসকের নিকট ডেপুটেশনের আলোচনা ব্যাখ্যা করেন তুষার মজুমদার। সভায় সভাপতিত্ব করেন নজরুল ইসলাম।