দীপশুভ্র সান্যাল:চিন্তন নিউজ:১৪ সেপ্টেম্বর :- বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার লাগাতার চলছে। বাধ্য হয়ে প্রাণ বাঁচাতে ফের নিজেদের সন্তান স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টার ঘটনা ঘটলো জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি লাগোয়া সাতকুরা সীমান্তে। সীমান্তে বি এস এফ এর কড়া নজরদারি ফলে দশজন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু বাংলাদেশি নাগরিকদের আটক করে জাওয়ানরা।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই ১০ জনের দলটি ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে দক্ষিণ বেরুবাড়ির চিলডাঙ্গা গ্রাম দিয়ে রাতে এলাকার এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাত কাটায় তারা সকালে অজানা উদ্দেশ্যে পথ চলতে শুরু করে তারা। এর পরেই বিএসএফ কর্মীরা খবর পেয়ে তাদের আটক করে৷ শুক্রবার সারা দিন বিএসএফ ও বাংলাদেশের বর্ডার গার্ডের দীর্ঘ আলোচনার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ১০জনকেই ফের বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের থেকে জানা যায় মানুষগুলি ভারতে আসতে চাইছিল শুধুমাত্র নিজেদের ও তার সন্তান স্ত্রীর প্রাণ বাঁচাতে। কারন বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার চলে যাওয়ার পর থেকেই ক্রমাগত অত্যাচার চলছে সেখানকার সংখ্যালঘুদের উপর। বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দিচ্ছে পাশাপাশি প্রাণে মারার চেষ্টা হচ্ছে। কোনো প্রকার লুকিয়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে হচ্ছে তাদের।
এই সীমান্ত এলাকা দিয়েই কিছুদিন আগেও প্রায় ৩০০ বাংলাদেশী নাগরিক ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল সেই সময়ও বিএস এফ তাদের আটকে দিয়েছিল। আটক হওয়া বাংলাদেশী নাগরিকরা বাংলাদেশের দিনাজপুর ও ঠুকুরগাও এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে৷ বিএসএফের ৯৩ ব্যাটালিয়ন শুভেন্দু বিওপির জাওয়ান ও ৫৬ নং ব্যাটালিয়ন ধামেরঘাট বিওপির জাওয়ানদের মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং করেই বাংলাদেশ ফেরত পাঠানো হয় এই ১০জন কে। এই ১০জনের মধ্যে পুরুষ ছিল ৭জন,মহিলা ছিল ১জন,দুটি শিশু ছিল।