প্রতিবেদক সলিল ঘোষাল: অনুবাদক:- মিঠুন ভট্টাচার্য: চিন্তন নিউজ:৮ই অক্টোবর:– আমাদের দেশের মতো একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কোন রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক সংগঠন যে কোন আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার স্বাধীনতা পাওয়ার অধিকার রাখে যদি সেটা সাধারণ মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে হয়। তদনুসারে ভারতবর্ষের কয়েকশো কৃষক সংগঠনের সদস্য কৃষক ভাইরা গত বছর থেকে তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত কিষানমোর্চার ব্যানারে ঐক্যবদ্ধভাবে বিক্ষোভ করছে। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের লাগু হওয়া আইন অনুসারে কৃষকদের তাদের ফসল এবং তাদের জমি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার থাকবে না এবং এটি কেবলমাত্র কয়েকটি কর্পোরেট সংস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। অতএব এই দিক থেকে কৃষকদের আন্দোলন প্রগতিশীল মনের মানুষদের চোখে খুবই ন্যায্য। যখনই ক্ষমতাসীন দল বুঝতে পারল যে ধীরে ধীরে এই আন্দোলন সারা দেশে একটি বড় আকার নিচ্ছে, তারা প্রশাসনের পূর্ণ সমর্থন নিয়ে এটিকে ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ নিয়েছে। এটি একটি স্বৈরাচারী সরকার। এবং খুব সাধারণভাবে তারা আন্দোলনকারীদের ওপর অনেক অগণতান্ত্রিক নির্যাতন প্রয়োগ করে আসছে। পরিশেষে তাদের এই ধরনের সবচেয়ে অমানবিক কাজ সংঘটিত হয়েছে , ওদের ন্যূনতম মানবতা নেই —–
১. কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মাননীয় অজয় মিশ্র আন্দোলনকারীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, অবিলম্বে আন্দোলন বন্ধ করুন, অন্যথায় তাদের চূড়ান্ত ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে , পরিণতি-চূড়ান্তভাবে ঘটেছে-অজয় মিশ্রের কনভয় আন্দোলনকারীদের মাঝখান দিয়ে লাঙল ভেদ করে যাওয়ার চেষ্টার মাধ্যমে!
২. আশিস মিশ্র-কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর যোগ্য পুত্র গাড়ি চালাচ্ছিলেন এবং তিনি সেই গাড়ি থেকে গুলি চালিয়ে এবং গাড়ি চাপা দিয়ে কয়েকজন কৃষককে হত্যা করেছেন।
৩. এটা গণতন্ত্রকে চূর্ণ করার একটি পদক্ষেপ। বিরোধী দলের সকল নেতাকে ঘটনাস্থলে যেতে দেওয়া হয়নি। ওই এলাকায় সমস্ত ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং অনেক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
৪. এটা সত্যিই আশ্চর্যজনক যে পুরো এলাকাটি পুরোপুরি ঘিরে রাখা হয়েছে যাতে বামপন্থী সহ কোন বিরোধী প্রতিনিধি সেখানে প্রবেশ করতে না পারে। যাতে কোন মিডিয়া সেখানে পৌঁছাতে না পারে । অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলকে স্থানীয় প্রশাসন উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছে, এছাড়া তৃণমূল সাংসদদের বিজেপি সরকার সম্পূর্ণ নিরাপত্তা প্রদান করে সেখানে যাবার অনুমতি দিয়েছে , যা ইতিমধ্যেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে , এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে যা ইঙ্গিত করে যে তৃণমূল ও বিজেপি মতাদর্শ এবং প্রতিশোধমূলক রাজনৈতিক স্বার্থে প্রতিপক্ষকে আঘাত করে! পরোক্ষভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নরেন্দ্র মোদী উভয়েই কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যে সরকার একে অপরের প্রধান সহায়ক শক্তি। কমিউনিস্ট এবং কমিউনিস্ট আন্দোলনকে আক্রমণ করার জন্য তাদের উভয়েরই একই লক্ষ্য রয়েছে আমাদের সকলেরই তাদের অস্বাস্থ্যকর রাজনৈতিক বোঝাপড়ার ব্যাপারে খুব সচেতন হওয়া উচিত যাতে আমরা সাধারণ মানুষকে বোঝানোর জন্য উদ্যোগ নিতে পারি যে বিপুল বিপদ সম্পর্কে-এই দুটি রাজনৈতিক দল থেকে মানুষ সরে আসতে পারে এবং সঠিক গণআন্দোলনের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে পার্টি ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
![](https://chintannews.com/wp-content/uploads/2021/10/IMG_20211008_141355-1210x642.jpg)