রঞ্জন মুখার্জি: চিন্তন নিউজ:৩রা ফেব্রুয়ারি:- আমি মনে করি মার্কসবাদ অধ্যয়ন করার সাথে সাথে আমাদের দেশের প্রাচীন শাস্ত্র গুলিও অধ্যয়ন করা খুব জরুরী। এটা জরুরী এই কারণে, প্রাচীনকালের লিখিত ইতিহাস সেভাবে পাওয়া যায় না । এই সমস্ত ধর্মশাস্ত্র গুলো থেকেই ইতিহাসকে খুঁজে বার করা যেতে পারে।
এরকমই একটি বই সুকুমারী ভট্টাচার্যের লেখা” গীতা কেন”।
গীতা একটি বহুপঠিত , বহু অনূদিত এবং বহু চর্চিত গ্রন্থ। গীতা কেন এই গ্রন্থটি, অনুবাদ বা ভাষ্য নয়। তৎকালীন সময়ে শ্রম জীবি মানুষদের শ্রেণীবিন্যাস , বর্ণ বিভাগ, সমাজে শুদ্রদের ভূমিকা এই বিষয় গুলি খুব সুন্দর ভাবে বিশ্লেষিত হয়েছে এই বইটিতে।
তৎকালীন সমাজে শূদ্র ও নারী এই দুটোই ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ । বৈশ্য কে গীতা কখনো উচ্চবর্ণ বলে স্বীকার করেছে, আবার কখনো বা পাপ যোনি বলেছে । অর্থাৎ সমাজ বৈশ্য সম্বন্ধে তখনও মনস্থির করতে পারেনি। আবার বহু বিজাতীয় জনগোষ্ঠী যখন এখানে নানা উদ্দেশ্য নিয়ে এল তখন তাদের কোথায় কিভাবে কি শর্তে গ্রহণ করা হবে, সমাজপতিরা তাও ঠিক করতে পারেনি।
এই সমস্ত কিছুর বিশ্লেষণ খুঁজে পাওয়া যায় গীতা গ্রন্থে। “গীতা কেন” এই গ্রন্থটিতে ইতিহাসবিদ সুকুমারী ভট্টাচার্য এই বিষয় গুলিকেই তুলে এনেছেন, আলোচনা করেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন এবং তৎকালীন সমাজের একটা চেহারা খুঁজে পেতে চেষ্টা করেছেন ।