রাজ্য

লকডাউনের শহরে ত্রান বিলি নিয়ে বোমাবাজি ,ইটবৃষ্টি ,রণক্ষেত্র গার্ডেনরিচ


মাধবী ঘোষ: চিন্তন নিউজ:৩১শে মার্চ:–লকডাউন এর মধ্যে ত্রাণ বিলি নিয়ে সংঘর্ষ বন্দর এলাকায় গার্ডেনরিচে । দুই গোষ্ঠী একে অপরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ইট বৃষ্টি করে, বোমা ছুড়ে বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি সংঘর্ষের জেরে ব্যাপক ভাঙচুর হয়েছে এলাকার বেশ কিছু দোকানে। রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা গাড়িতেও ভাঙচুর হয়। ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৭ জন। ঘটনায় জখম হয়েছে বেশ কয়েকজন ।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘর্ষ। বন্দর এলাকার তৃণমূল কর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন , ১৩৪ নাম্বার ওয়ার্ডে কাউন্সিলর শামস ইকবাল ও পাশের ১৩৫নাম্বার ওয়ার্ডের প্রয়াত তৃণমূল নেতা মুন্না ইকবালের ছেলে । সেখানে কাউন্সিলর তৃণমূলের আখতারী নিজামী। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, আকতারি ছেলে ববি বকলমে মায়ের হয়ে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এর দায়িত্ব পালন করে থাকেন।তৃণমূল কর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন মুন্না ইকবালের মেয়ে সাবা ইকবাল ১৩৫ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে টিকিট পেতে চান।

সূত্রের খবর, দলীয় টিকিট না পেলেও নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তৈরি সাবা। তাই বেশ কয়েক মাস ধরেই আক্তারের ওয়ার্ডে বিভিন্ন ধরনের জনসংযোগ মূলক কাজ করে যাচ্ছেন সাবা। তা নিয়ে বেশ কয়েকবার ববি (আক্তারির ছেলে) এবং সবার অনুগামীদের মধ্যে বচসা ,ছোটখাটো মারপিট হয়েছে।সেই রাজনৈতিক রেষারেষি মারাত্মক আকার ধারণ করে রবিবার রাতে রামনগর মোড়ে। স্থানীয়

সূত্রের খবর লকডাউন এর কাজকর্মে যেতে না পারা বিভিন্ন পরিবারের জন্য ত্রাণ বিলি করতে নামেন এবং তার অনুগামীরা। সেই খবর পেয়ে চলে আসেন ববির অনুগামীরা। অভিযোগ, ববি লোকজন সভাকে ত্রাণ বিলি করায় বাধা দেয়। আর সেখান থেকেই শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি কয়েক মিনিটের মধ্যে দুপক্ষের অনুগামী মারমুখী রাজনৈতিক কর্মী রাস্তায় নেমে পড়ে। গার্ডেনরিচ মোড়, রামনগর রোডে শুরু হয়ে যায় ইট বৃষ্টি। ঘটনাস্থলে গার্ডেনরিচ থানার পুলিশ ছাড়াও বন্দরের বিভিন্ন থানার রিজার্ভ বাহিনী পৌঁছায়।

ইতিমধ্যে একে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় বোমা ছোড়া। বেশ কয়েকজন আহত হন এই সংঘর্ষে। প্রায় আড়াই তিন ঘণ্টা চেষ্টায় কলকাতা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সাবা ইকবালকে জগত যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ করেন, তারা কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছাড়াই সাধারণ মানুষের জন্য খাবার এবং অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে বাধা সৃষ্টি হয়। রীতিমতো আগ্নেয়াস্ত্র বোমা নিয়ে তার লোকজন হাজির হয় ।এলোপাথাড়ি বোমা ছুঁড়তে থাকে তারা । বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।