রাহুল চ্যাটার্জি:চিন্তন নিউজ:২৭শে মার্চ:-২৬শে মার্চ সিউড়ি সদর হাসপাতালে প্রয়াত হলেন কিষাণ চ্যাটার্জী(৮১), জন্ম সিউড়ির কাছে চাতরা গ্রামে। বীরভূম জেলার নকশাল আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি।পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান লাভ করেন। ছাত্র জীবনেই নকশাল আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। চারু মজুমদার, কানু সান্যাল প্রমুখ নকশাল নেতৃত্বের সাথে কাজ করেন।। প্রায় ৯ বছর কারাবাসে ছিলেন।।
তিনি তাঁর মৃত্যকালীন শেষ ইচ্ছায় স্ত্রী কৃষ্ণ প্রিয়া চ্যাটার্জীকে জানিয়ে ছিলেন যে তিনি মরণোত্তর দেহ, দান করতে চান। তিনি তাঁর জীবনকে মানব জাতির উন্নতিতে সম্পূর্ণ ভাবে নিয়োজিত করেছিলেন।।
বীরভূম জেলা পুলিশ এবং বীরভূম ভলান্টিয়ারী ব্লাড ডোনার্স এসোসিয়েশনের বিশেষ উদ্যোগে ওনার শবদেহ সিউড়ি থেকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এনাটমি বিভাগে নিয়ে আসা হয় বেলা প্রায় ১২ টা নাগাদ।।
স্বামীর শবদেহের পাশেই দাঁড়িয়ে প্রাক্তন শিক্ষিকা ও সাহিত্যিক কৃষ্ণপ্রিয়া চ্যাটার্জীর দৃপ্ত ঘোষণা -” আমিও স্বেচ্ছায় আমার মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে রাখতে চাই। আপনারা একটু সহযোগিতা করবেন”।।
তাঁদের একমাত্র কন্যা তামান্না(রিস্তা) আমেরিকা প্রবাসী গণিতশাস্ত্রে গবেষণারত।।
ঋজু মেরুদণ্ডের এই মহান বিপ্লবীর এই উদ্যোগ কে সকলে সেলাম জানিয়েছেন।।