সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১১ই নভেম্বর:- স্যার আবুল কালাম আজাদ এর জন্ম ১৮৮৮ সালের ১১ ই নভেম্বর মক্কায় এখন যা সৌদি আরব এর অংশ।। তাঁর পিতা অতি অল্প বয়সে মারা যান তাই তাঁর ছোটবেলাটা কিছুটা অসহয়তার মধ্যে কাটে।।
তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী। ইসলামী ধর্মশাস্ত্রে সুপন্ডীত ছিলেন। তিনি হিন্দু- মুসলিম সম্প্রীতির প্রধান প্রবক্তা ছিলেন এবং ভারত ভাগের তুমুল বিরোধীতা করেছিলেন। খুব অল্প বয়স থেকেই তিনি উর্দু ভাষায় কবিতা লেখা শুরু করেন। তিনি একজন নামকরা সাংবাদিক ছিলেন এবং এটাই তাঁর পেশা ছিল। সাংবাদিকতা করার সময় তিনি ব্রিটিশ শাসন এর সমালোচনা করতে পিছপা হন নি এবং ভারতীয় জাতীয়তাবাদকে সমর্থন করেন। তিনি খিলাফত আন্দোলন এর নেতৃত্ব দেন। ১৯১৯ সালে যখন তিনি মহাত্মা গান্ধীর সংস্পর্শে আসেন তখন রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে মহাত্মা গান্ধীর সাথে অহিংস আন্দোলন এর ধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয় হয়ে উঠেন।১৯২৩ সালে তিনি জাতীয় কংগ্রেস এর সভাপতি নির্বাচিত হন আর তিনিই ছিলেন জাতীয় কংগ্রেস এর সর্বকনিষ্ঠ সভাপতি।ভারত ছাড়ো আন্দোলন এর সময় তিনি পাঁচ বছর কংগ্রেস এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এই পাঁচ বছরের মধ্যে তিন বছর কারারুদ্ধ হয়ে ছিলেন। যারা পৃথক পাকিস্তান রাষ্ট্রের দাবির বিরুদ্ধে ছিলেন আবুল কালাম আজাদ তাঁর মধ্যে প্রধান ছিলেন। দেশভাগের সময় যে হিন্দু- মুসলমান দাঙ্গা সংগঠিত হয় তাতে তিনি হিন্দু- মুসলমানদের মধ্যে সম্প্রীতি গড়ার আপ্রান চেষ্টা চালান। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী পদ অলংকৃত করেন। শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে তিনি বিনামূল্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন।তিনিই ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ও বিশ্ববিদ্যালয় এর মঞ্জুরী কমিশন স্থাপন করেন। ১৯৯২ সালে মরনোত্তর ভারতরত্ন পুরস্কার এ ভূষিত করা হয়।স্বাধীন ভারতের শিক্ষাবিস্তারে তাঁর ভূমিকার কথা স্মরণ রেখে তাঁর জন্মদিন টিকে “” জাতীয় শিক্ষা দিবস”” হিসেবে ঘোষণা করা হয় সারা দেশে।