রত্না দাস, চিন্তন নিউজ, ১১ অক্টোবর: তিনি নির্বাচিত পঞ্চায়েত সভানেত্রী, কিন্তু নিচু জাতের। আর সেই কারণেই তিনি নির্বাচিত হয়েও পঞ্চায়েত অফিসে সকলে উচু আসনে বসলেও তার বসার স্থান হয়েছে মাটিতে। এই ঘটনা সোশ্যাল-মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তাতেই প্রশাসন নড়েচড়ে বসে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য একটি করে আসন সংরক্ষিত আছে। সেই আসনে গতবছর নির্বাচিত হন ওই মহিলা। তিনি দ্রাবিড় সম্প্রদায়ভুক্ত। পঞ্চায়েত অফিসে তাকে বসতে দেওয়া হয়েছে মাটিতে এবং মাটিতে বসেই তিনি তার কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
তার বক্তব্য, “আমি নিচু জাতের বলে ভাইস প্রেসিডেন্ট আমাকে সভাপতিত্ব করতে দেন না। পতাকা উত্তোলন করতে দেন না। ওদের নানা অপমান সত্বেও আমি এই উঁচু জাতের লোকদের সাথে সহযোগিতা করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু আমার প্রতি এই অন্যায় আচরণ বেড়েই চলেছে। জল মাথার উপর দিয়ে বইছে।”
আমাদের সংবিধানে অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে নানা আইন আছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা কাজে আসেনা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এই জাত পাতের ভেদাভেদ এখনো প্রকট। বেশকিছু গ্রামে নিচু জাতের জন্য আলাদা জায়গা নির্বাচিত করা আছে। নিচু জাতের লোকেরা উঁচু জাতের লোকদের সামনে দিয়ে কিংবা তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে জুতো পড়ে চলাফেরা করতে পারবেনা।
পাপ্পাপাত্তি, কিরিপাত্তি, নাত্তারমঙ্গলমের মত আরো কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে সংরক্ষিত আসন থাকলেও পিছড়েবর্গের কেউ সেই আসনে লড়াই করে না। কারণ তারা জানেন নির্বাচিত হয়ে এলেও উচ্চবর্ণের লোকেরা তাদের কাজ করতে দেবে না।