জেলা

বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর লাল পতাকার উত্তাল ঢেউ ।


চিন্তন নিউজ:-৯ই সেপ্টেম্বর,২০২০:- সংবাদদাতা- কিংশুক ভট্টাচার্য,:- বাঁকুড়ার পোয়াবাগানে পরিযায়ী শ্রমিকদের মিছিল, সমাবেশ ও গণ-ডেপুটেশন:- কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বা রাজ্যের তৃণমূল সরকার কেউই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি এমনকি আদালতের নির্দেশ কার্যকরী করার কোনো উদ‍্যোগ নজরে পড়েনি কারও। তা সে উচ্চ আদালতই হোক বা সর্বোচ্চ আদালত হোক। প্রাপ্তি হয়েছে শুধুই উপেক্ষা ও বঞ্চনা। যখন রেল লাইনে সহস্র কিলোমিটার পথচলা, ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় ক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের শরীর খন্ড বিখন্ড হয়েছে তখন দেশগড়ার কারিগর বিশ্বকর্মার দল সহানুভূতি সহমর্মিতার বদলে তাদের দিকে ছুঁঁড়ে দিয়েছে বিদ্রুপ ও অবহেলা।রেল লাইন কি ঘুমানোর জায়গা –প্রশ্ন তোলেন বিজেপি’র ছোট বড় সব নেতা।সেই প্রশ্নের উত্তরে ক্ষোভই আজ উগরে দিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কর্মী সমর্থকরা। সংগঠনের আহ্বানে বাঁকুড়া পোয়াবাগানে মিছিল সমাবেশ ও গণ ডেপুটেশনে অংশগ্রহন করেন বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিযায়ী শ্রমিকেরা। দাবি উঠলো রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি শ্রমিককে পরিচিতি পত্র দিতে হবে, প্রতিটি ব্লকে এই শ্রমিকদের বিষয়গুলি দেখভাল করার জন্যে একজন আধিকারিককে দায়িত্ব দিতে হবে, প্রতিটি ব্লকে এই শ্রমিকদের রেজিস্টার তৈরী করতে হবে, এই শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষার ব্যাবস্থা করতে হবে, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো প্রতিটি শ্রমিক যাতে এক লক্ষ করে টাকা পায় তা সুনিশ্চিত করতে হবে । শ্রমিকদের খাদ্য ও কাজের ব্যবস্থা করতে হবে, প্রতিটি শ্রমিককে মাসে একুশ হাজার টাকা করে মজুরী প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি উত্থাপিত হলো প্রতিটি গরীব পরিবারকে আগামী ছ’মাস পর্যন্ত প্রতি মাসে সাত হাজার পাঁচশত নগদ টাকা ও মাথাপিছু দশ কিলো করে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করতে হবে। এই বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিআইটিইউ নেতা প্রতীপ মুখার্জী , কিংকর পোষাক, ডিওয়াইএফআই’এর সর্বভারতীয় সম্পাদক অভয় মুখার্জী, কৃষক সভার সুনীল ঘোষ, পঃবঃ ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের বিনোদ বাস্কে ও পরিযায়ী শ্রমিক সঞ্জীব ঘোষ।

সোনামুখী এখন প্রতিদিন নজির সৃষ্টির জনপদ।পঁচিশ তম দিন পার হল লালমাটির রান্নাঘর। তেইশ তম দিনে পিকু দুবের ছেলে কবির দুবের একুশ তম জন্মদিনে তাঁর বাবা -মা লালমাটির রান্নাঘরের সবাইকে মুরগি মাংসের ঝোল ও রসগোল্লা সহ দুপুরের খাবার খাওয়ানোর সমস্ত খরচ বহন করেন।

দীর্ঘ দিন পরে সন্ত্রাস কবলিত জয়পুরের মাগুরা, শহীদ স্মরণে লালঝাণ্ডার জনস্রোতে ভাসল । বাঁকুড়া জেলার প্রাক্তন কৃষক সভার নেতা ও সিপিআইএম এর জেলা সম্পাদক গুণাধার চৌধুরীর গ্রাম মাগুরা।

রাণীবাঁধ, বাঁকুড়া এলাকায় সিপিআইএম এর উদ‍্যোগে সিপিআইএম এর রাজ‍্য কমিটির সদস‍্যা দেবলীনা হেমব্রম বিভিন্ন গ্রামে পতাকা উত্তোলন করেন, পুড্ডি অঞ্চলে ধানাড়া, রুদড়া অঞ্চলে রুদড়া, হাঁসডুংড়ি, অম্বিকা নগর অঞ্চলে রামডুংড়ি, লিপিদিরি, লদ্দা প্রভৃতি গ্রামের মোড়ে মোড়ে মিছিল করে পতাকা উত্তোলন করা হলো গত মঙ্গলবার।

পুরুলিয়া আবার খবরে।

আবারও বিজেপি থেকে সিপিআইএম দলে যোগদান ঝালদাতে l

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঝালদা পি,এস,/দুই আসনের পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি প্রার্থী নুনীবালা সিং মুড়া, প্রভাত মাহাতো, সুধীর পট্টনায়ক, সুরেন্দ্র মাহাতো, রমেশ মাহাতো, বলরাম মাহাতো, গুনধর মাহাতো, অনিল মাহাতো সহ তাঁদের পরিবার সি.পি.আই(এম) দলে যোগদান করলেন। এদের হাতে রক্তপতাকা তুলে দিলেন সিপিআইএম নেতৃত্ব।

:- ,ঝাড়গ্রামও পিছিয়ে নেই লড়াইয়ের ময়দানে।

লালগড়ে লালঝাণ্ডার উত্তাল ঢেউ আছড়ে পড়ল মেহনতি মানুষের ১৬ দফা দাবি নিয়ে। মানুষ ক্রমশ বেশী বেশী করে জড়ো হচ্ছেন লালপতাকার নিচে। দাবি তালিকা যে তাঁদেরই জীবন যন্ত্রনার প্রতিচ্ছবি বুঝছেন বেশী করে।

লালগড় আজ লালে লাল l

আজ জঙ্গলমহলের দু’হাজার আট থেকে দু’হাজার এগারো র সন্ত্রাসের খাস তালুক লালগড়ে মানুষের ভিড় উপচে পড়ল লালঝান্ডা হাতে নিয়ে। সেই সময়কার আতঙ্কে’র সমার্থক লালগড়ে আজ জনসাধারণের ১৬ দফা দাবি নিয়ে সিপিআইএম ও ডিওয়াইএফআইএর লালগড় এরিয়া কমিটির ডাকে উপচে পড়া ভিড় নিয়ে পালিত হ’ল লালঝান্ডার কর্মসূচি। বিনপুর এক নম্বর ব্লকে লালগড় বিডিও অফিসে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির সম্পাদক ডাঃ পুলিন বিহারী বাস্কে, কমরেড পার্থ যাদব, রাজ্য কমিটিরনেত্রী কমরেড মধুজা সেন রায়, ডিওয়াইএফআই ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির সম্পাদক কমরেড স্বপন ফৌজদার, সিপিআইএম ও ডিওয়াইএফআই- এর লালগড় এরিয়া কমিটির সম্পাদক যথাক্রমে অলক কান্তি দাস, এবং সনাতন দেবসিংহ ও অনান‍্যরা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।