জেলা

বাঁকুড়ায় ১৬দফা দাবীর প্রচার সপ্তাহ পালন করছে সিপিআইএম।


কিংশুক ভট্টাচার্য: চিন্তন নিউজ:২৫শে আগস্ট:-সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটি ডাক দিয়েছে মানুষের অতি প্রয়োজনীয় ষোল দফা দাবী সমূহ নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে, আগামী দিনের রাস্তার লড়াইয়ে মানুষকে প্রস্তুত করে তুলতে। এই মাসের কুড়ি থেকে ছাব্বিশ তারিখ পর্যন্ত দাবী সপ্তাহ পালন করে ষোল দফা দাবী মানুষের কাছে তুলে ধরতে।

মঙ্গলবার সেই সাত দিনের ষষ্ঠদিন। ইতিমধ্যে কুড়ি তারিখ বিভিন্ন গণ সংগঠন ও সিপিআইএম এর বিভিন্ন এরিয়া কমিটি গুলি অন‍্যান‍্য বাম ও ঐ দাবীগুলির সমর্থকদের সাথে নিয়ে লাগাতার নানান কর্মসূচী র মধ‍্য দিয়ে এই দাবী সপ্তাহ উদযাপন করছেন। ঐ কর্মসূচির অংশ স্বরূপ বাঁকুড়া শহরে সিপিআইএম এর দুটি এরিয়া কমিটি আজ মানুষের মুখোমুখি রাস্তায়।

শহর পূর্ব এরিয়া কমিটি র উদ‍্যোগে লালবাজার মোরে ও পশ্চিম এরিয়া কমিটির ডাকে জুনবেদিয়া মোড়ে ও ভৈরবস্থানের মোড়ে জমায়েত ও পথসভার কর্মসূচি গ্রহন করা হয়। পূর্ব এরিয়া কমিটির লালবাজারের পথসভায় পরিচালনা করেন সোমনাথ দত্ত বক্তব‍্য রাখেন সন্দীপ বিশ্বাস, কিংশুক ভট্টাচারিয়া ও এরিয়া সম্পাদক প্রভাত কুসুম রায়। পশ্চিম এরিয়া কমিটির জুনবেদিয়া ভৈরবস্থানের মোড়ের পথসভায় বলেন
এরিয়া সম্পাদক কম্ অশোক ব্যানার্জী,অস্মিতা দাসগুপ্ত, মির্জা শামসুল হোদা,শঙ্কর ঘোষ,জয়ন্ত মুখার্জী,দেবাশীষ রায়,ধর্মেন্দ্র সিং,গনেশ মালাকার।

সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির ডাকে ষোল দফা দাবীতে চলছে দেশজুড়ে দাবী সপ্তাহ পালন, আর সিপিআই(এম)’র রাজ্য কমিটি ডাক দিয়েছেন পঁচিশ আগস্ট দিনটিকে গ্রামে গঞ্জে মহল্লায় বিশেষ প্রচার অভিযান হিসেবে পালনের। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন এক নম্বর ব্লক এলাকার গ্রামে গ্রামে পার্টি ও গণসংগঠনগুলির উদ্যোগে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে প্রচার অভিযান। বিড়ি শ্রমিক অধ্যুষিত পাতাকোলা, কাঁসা ও তাঁত শিল্পী পরিবেষ্টিত কেঞ্জাকুড়া তথা প্রান্তিক কৃষকদের গ্রাম ঝরিয়াতে হয়েছে পথসভা, গ্রামসভা, মিছিল ও পোস্টারিং। দাবী তোলা হয়েছে এমএনআরজিএতে বছরে দুইশত দিন কাজ ও বর্ধিত মজুরী দিতে হবে, পিএম কেয়ার ফান্ডের টাকার পূর্ণাঙ্গ হিসাব দিতে হবে এবং এই টাকা রাজ্য সরকারগুলির মাধ্যমে খরচ করতে হবে, নতুন শিক্ষানীতির নামে শিক্ষায় বেসরকারীকরণ চলবে না, কৃষি অর্ডিন্যান্স বাতিল করতে হবে, স্বাস্থ্য খাতে জিডিপি’র তিন শতাংশ টাকা খরচ করতে হবে, বিনা বিচারে আটক সমস্ত রাজনৈতিক কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
এই কর্মসূচীগুলিতে নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং বক্তব্য রাখেন প্রতীপ মুখার্জী, ভৃগুরাম কর্মকার, মোহন ধবল, প্রহ্লাদ মুখার্জী, সুজয় পাল, উজ্জ্বল সরকার, গণেশ দে, অনাথ ঘোষ প্রমুখ সিপিআই(এম) ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ। – বিভিন্ন গ্রামের বহু সাধারণ মানুষও এই কর্মসূচীতে সামিল হন এবং আলাপচারিতার মাধ্যমে জীবনের জ্বালা যন্ত্রণার কথাও তুলে ধরেন।

মঙ্গলবার বিভিন্ন দাবিতে ডেপুটেশন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করাহয়। কেন্দ্রীয় সম্মিলিত বাস্তুহারা পরিষদ বড়জোড়া ব্লক কমিটির ডাকে।উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তী, বড়জোড়া এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুজয় চৌধুরী, তরুণ রাজ, ইউসিআরসি র জেলা নেতৃত্ব রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, বিপদ ভঞ্জন বিশ্বাস, ডেপুটেশনে অবিলম্বে উদ্বাস্তু দের জমির পর্চা,আবাস তৈরি, ডিজিটাল রেশন কার্ড ও কাজের দাবী তুলেছেন।এছাড়া রামকৃষ্ণপল্লী এলাকার খেলার মাঠ কে সুরক্ষিত রাখার জন্য বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার বৈঠক করে সমস্যা মেটানোর দাবী তোলা হয়…মানাচরের মানুষ এই কর্মসূচিতে যোগদান করেন বড়জোড়া এরিয়া কমিটি এলাকার মানাচরের মানুষ দের নিয়ে ইউসিআরসি র উদ্যোগে সমষ্টি আধিকারিক ও ভূমিওভূমিরাজস্ব আধিকারিকের কাছে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশনের কর্মসূচী পালন করাহয়।

ছাঁন্দারে বেলিয়াতোড় এরিয়া কমিটির উদ‍্যোগে প্রচার সপ্তাহে র অংশ হিসেবে পথসভা অনুষ্ঠিত করা হয়। এবং করোনা সচেতনতা প্রচারের স্বার্থে মাস্ক বিতরণ করা হয়।

একটি আবেদন

রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানানো এই মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না। অথচ এই সুযোগে দেশের শিক্ষাকে কানা গলিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সাধারণের যতটুকু সুযোগ আছে তা যেমন হাতছাড়া হতে চলেছে, তেমনি বিজ্ঞান গবেষণা সহ সবই নস্যাৎ হওয়ার তোড়জোড় চলছে। অপবিজ্ঞান, কুসংস্কার, উগ্র ধর্মীয় আবেগ শিশু মনকে গ্রাস করানোরই আয়োজন। ফলে সমাজ ধ্বংস হতে বাধ্য। প্রতিবাদ হোক। কিন্তু কীভাবে? এখন তো সংক্রমণের আতঙ্ক গ্রাস করেছে।
সংক্রমণ বাস্তবে বেড়ে চলেছে দ্রুত হারে।
অথচ, প্রতিবাদ চাই। যখনই সুযোগ পাব রাস্তায় নেমে রুখতে হবে। একারণে জনমত সৃষ্টির দরকার। সোস্যাল মিডিয়াই একমাত্র ভরসা। অন্যেরা অতখানি নয়। হয়তো তারাও পারে। চেষ্টা করে চলেছেন অনেকেই।
‘টিচার্স প্লাটফর্ম’ ফেসবুক পেজ থেকে উদ্যোগ নিয়েছে। কয়েকদিন বাদে বাদে রাত্রি আটটা নাগাদ এই পেজে রয়েছে নানান আলোচনা।

ইতিমধ্যে তিনদিন সম্পন্ন হয়েছে, মঙ্গলবার চতুর্থ দিন।
মঙ্গলবারের আলোচনায় বিষয় ছিলো উচ্চ শিক্ষার ভবিষ্যৎ। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
অধ্যাপক বিভাস সাহা, ব্রিটেনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়। অধ্যাপক কেশব ভট্টাচার্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
সৃজন ভট্টাচার্য ভারতের ছাত্র ফেডারেশন এর
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক। আগামী বৃহস্পতিবার সাতশ তারিখ রাত্রি আট টায় উপস্থিত থাকবেন অধ্যাপক শেখ সইদুল হক। টীচার্স প্ল‍্যাটফর্ম এর পক্ষে মাননীয় আশীষ পান্ডে অনুরোধ করেছেন ওই লাইভ অনুষ্ঠানগুলিতে উপস্থিত হয়ে লাইক, কমেন্টের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানোর জন‍্য। প্রশ্ন তুলতে বলেছেন আলোচকদের কাছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।