কল্পনা গুপ্ত, চিন্তন নিউজ – করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সতর্কতায় ভারতের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও ওষুধের দোকানে অপ্রত্যাশিত ভীড় ও ভবিষ্যতের সঞ্চয়ের জন্য নাগরিকের প্রাত্যহিক বিপুল চাহিদার দৃশ্য অতিপরিচিত ও স্বাভাবিক। কিন্তু অস্বাভাবিক হলেও সত্য যে আমেরিকার করোনা পরিস্থিতির অবনতির সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে অস্ত্র বিক্রি।
ওকলাহোমার ডগন গানস, টুলসার এমো ও রিলোডিংয়ের মালিক ডেভিড স্টোন জানান, অস্ত্র বিক্রি আগের তুলনায় আটশো গুণ বেড়েছে। এর কারণ করোনা মহামারীর প্রভাবে দেশে সামাজিক অস্থিরতা, লুটপাট, হাংগামা বাড়ার আশংকায় নাগরিকরা অস্ত্র কেনায় তৎপর হয়েছেন। দেখা গেছে যে যারা তড়িঘড়ি অস্ত্র কেনায় এগিয়ে এসেছেন তারা সবাই জীবনে প্রথম অস্ত্র কিনছেন। করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটলে যে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হবে তার মোকাবিলার জন্য সাধারণ নাগরিক ভীত ফলে অস্ত্রের দোকান খোলার এক ঘন্টা আগে থেকেই অস্ত্র কেনার লাইনে দাঁড়াচ্ছেন ক্রেতারা।একথা জানাচ্ছেন ওয়াশিংটন লেনউওড গানের মালিক টিফ্যানি টিসডেল। আরো জানাচ্ছেন যেখানে অন্যসময়ে সারাদিনে ২০থেকে ২৫ টি অস্ত্র বিক্রি করতেন এখন সেখানে ১৫০টি বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহে সাত দিনই খোলা থাকছে অস্ত্রের দোকান। বিক্রি হচ্ছে শটগান, হ্যান্ডগান, আধা স্বয়ংক্রিয় এ আর ২৫।
অস্ত্র কিনছেন কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয়, ভারতীয়, হিসপানিক,সব জাতিগত সংখ্যালঘু মানুষজন যারা জীবনে প্রথম অস্ত্র কিনছেন। তরুণ থেকে মধ্যবয়সী সবধরনের নারীপুরুষ দ্রুত অস্ত্রের ব্যবহার শিখে নিচ্ছেন। ফলে ক্যালিফোর্নিয়া, নিউইয়র্ক, আলাবামা, ওহিও প্রভৃতি অঞ্চলে অস্ত্র বিক্রির হার বেড়েছে। যদিও এভরি টাউন ফর গান সেফটির সভাপতি জন ফেইনব্লাট বলেন, কোভিড ১৯ এর প্রকোপের মুখে অস্ত্র আমেরিকাকে কোন নিরাপত্তা দেবে না।
এই সংবাদের মধ্য দিয়ে একথা স্পষ্ট হয় যে, ওরিয়েন্টাল সামাজিক সংস্কৃতির সাথে আমেরিকার সামাজিক সংস্কৃতির বিপুল ফারাক রয়েছে সামাজিক মূল্যবোধ ও নিরাপত্তার বিষয়ে।