আরণ্যক ঘোষ,আলিপুরদুয়ারঃচিন্তন নিউজ;২৭শে সেপ্টেম্বর:– কোথাও রেল অবরোধ। কোথাও জাতীয় সড়ক অবরোধ।কোথাও রাস্তাতেই প্রশাসনের চোখ রাঙানিকে অগ্রাহ্য করে বসে পড়ছেন বামপন্থী কর্মী সমর্থকরা।কোথাও জেলা শাসকের অফিস ডুয়ার্স কন্যা অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে ছাত্ররা।পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হচ্ছে ছাত্ররা।রাস্তায় আটকে দেওয়া হচ্ছে সরকারি বাস।চড়া রোদে ঠাই লালঝাণ্ডা হাতে পিকেটিং করছে ছাত্র যুব মহিলারা।রাস্তাঘাট, বাজার সিংহভাগ বন্ধ।ব্যাঙ্ক, এল আইসিতে অন্যান্য দিনের তুলনায় সরকারি কর্মীদের হাজিরা কম।এমনই সব দৃশ্যের কোলাজ উঠে এসেছে সোমবার আলিপুরদুয়ার জেলায়।
সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে কার্যত সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সর্বাত্মক বনধ্।বলা ভালো সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে সফল একটি বনধ্ লক্ষ্য করা গেছে। আলিপুরদুয়ার জেলা সদর, মাদারিহাট, বীরপাড়া, ফালাকাটা, কুমারগ্রাম, কামাক্ষাগুড়ি, ভাটিবাড়ি, কালচিনি ছোট বড় জনপদে ঘুরেফিরে একই ছবি উঠে এসেছে এদিন।রাস্তায় মানুষ নেই।
উল্লেখ্য, শেষ ১০ বছর হিসেবে রাখলে বামপন্থীদের ডাকা প্রতিটি বন্ধের বিরোধিতা করে পালটা মিছিল দেখেছে জেলা।তবে সোমবারই প্রথম রাজ্যের শাসকদলের তরফে এমন কোন মিছিল দেখা যায়নি জেলায়।জেলার ৬২ চা বাগানে চলছে পুজো বোনাস দেবার কাজ। বনধের সমর্থনে আগাম কোন নোটিশ চা বাগান গুলিকে দেওয়া ছিলনা।স্বাভাবিক ভাবেই চা শিল্পের কথা বিবেচনায় রেখে এদিন কিছুটা ছাড় চা বাগান গুলিকে দেওয়া হয়েছে।
বামপন্থী নেতৃত্বের একটি অংশ জানিয়েছেন,দেশের মতো রাজ্যেও করপোরেট দের খুশি করতে ব্যস্ত একটি সরকার রয়েছে। সাধারণ মানুষ চেয়েছেন কিছুটা ভালো থাকতে।তবে তেল গ্যাস মূল্যবৃদ্ধি মানুষকে দিশেহারা করছে। মানুষ নিজেই বনধ্ কে সমর্থন করেছে এদিন।কৃষি নির্ভর একটি দেশের রাজধানীতে ১০ মাস ধরে তিন কালা কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকরা আন্দোলনে। স্বাভাবিক ভাবেই কৃষকদের ডাকা বনধে কৃষকরাও সামিল হয়েছে। যার ফলে দুর্গাপূজার মুখেও সর্বাত্নক বনধ্ হয়েছে আলিপুরদুয়ারে।
উল্লেক্ষ্য,এদিনের ধর্মঘট কে সফল করতে আলিপুরদুয়ারে প্রায় ১৫ দিন আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছিল বামপন্থী দল, তাদের সহযোগী সংগঠন গুলি।একের পর এক বন্ধের সমর্থনে মিছিল হয়েছে জেলা জুড়ে।বিভিন্ন মাধ্যমে বনধ্ সফল করার বার্তা দেওয়া হয়। সিপিআইএমের আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক কিশোর দাস বনধ্ সফল হওয়ায় জেলা বাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।