দেশ

কাশ্মীরে আবারও গ্রেনেড হামলা।


নিউজ ডেস্ক:চিন্তন নিউজ:১৩ইঅক্টোবর:–সন্ত্রাসের আতঙ্ক যেন তাড়া করে বেড়াচ্ছে ভূস্বর্গকে। আশঙ্কাকে সত্যি করে জম্মু ও কাশ্মীরে ফের সন্ত্রাসহানা। শনিবার শ্রীনগর একটি বাজার এলাকা লক্ষ্য করে সন্ত্রাসবাদীরা হঠাৎই গ্রেনেড ছোঁড়ে। ওই গ্রেনেড হামলার জেরে কমপক্ষে সাত জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এর মধ্যে আবার তিন সাধারণ নাগরিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। গ্রেনেড হামলায় আহত সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জম্মু ও কাশ্মীরের কঠোর নিরাপত্তা সত্ত্বেও এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত ৫ অগাস্ট ওই রাজ্য থেকে কয়েক দশকের পুরনো বিশেষ সুযোগসুবিধাগুলি বাতিল করার ঘোষণা করে, তারপর থেকেই থমথমে ছিল গোটা উপত্যকা। জম্মু ও কাশ্মীরকে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মুড়ে একরকম অবরুদ্ধ অবস্থায় রেখে দিয়েছে সরকার। তবে দুই মাসেরও বেশি সময় পর পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে এসেছে মনে করে শনিবার সরকার ঘোষণা করে যে আগামী সোমবার থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে পোস্টপেইড মোবাইল সংযোগগুলি ফের চালু করা হবে। এর আগে সেখানকার ল্যান্ডলাইনগুলোও চালু করে প্রশাসন। কিন্তু আশঙ্কাকে সত্যি করেই স্বাভাবিক জীবনে ফেরার মুহূূর্তেই শ্রীনগরে হয়ে গেল এই সন্ত্রাসহানা।

এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, লাল চক থেকে কয়েকশ মিটার দূরে হরি সিং হাই স্ট্রিট মার্কেটে এই হামলা হয়। ঘটনার পরপরই কাশ্মীর জোন পুলিশ টুইট করে জানায় যে ওই অঞ্চলটি ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফ চিরুণী তল্লাশি চালাচ্ছে।

। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যসচিব রোহিত কানসাল বলেন, ১৬ আগস্ট থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ উঠেছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ বেশিরভাগ বিধিনিষেধই প্রত্যাহার করা হয়েছে। ৮-১০টি থানা বাদে বাকি সর্বত্র যাতায়াতে নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে এখন। ৯৯ শতাংশের বেশি এলাকায় আসা-যাওয়ার ওপর কোনও বিধিনিষেধই নেই।

তবে বিশেষ মর্যাদা বাতিল হওয়ার পর এটাই প্রথম সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা নয়। ৫ অক্টোবর দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে সন্ত্রাসবাদীরা গ্রেনেড ছুঁড়লে বিস্ফোরণ ঘটে প্রায় ১৪ জন জখম হন। জেলা কালেক্টরের দপ্তরের বাইরে ওই হামলা হয়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।