রত্না দাস, নিজস্ব প্রতিবেদন:বহরমপুর ; চিন্তন নিউজ:১৩/০৯/২০২৪: কয়লা, বালি, পাথর, গরু, সোনা,শিক্ষা,স্বাস্থ্য, চাকরি সব চুরি করেছে তৃণমূল সরকার। ৯ আগষ্ট আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়া তিলোত্তমাকে কর্মরত অবস্থায় তার নিজের কর্মস্থলে নারকীয় অত্যাচার এবং খুন করা হয়। এই ঘটনায় কেঁপে উঠেছে গোটা বিশ্ব।সামনে এসেছে একের পর দুর্নীতি। আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাম ও তার কার্যকলাপে স্তম্ভিত তামাম দুনিয়া। আর জি করে সন্দীপ ঘোষ একপ্রকার সিন্ডিকেট রাজ চালাতো। দেহ পাচার,ওষুধ পাচার,প্রশ্ন ফাঁস সহ একাধিক দূর্নীতি।
এই করিৎকর্মা সন্দীপ ঘোষ মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ থাকা কালীন অসংখ্য দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তৃণমূল মন্ত্রী সান্ত্রীদের সহযোগিতায়। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ থেকে তিনি বদলি হয়ে গেলেও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে প্রশ্নপত্র বিক্রি, গণটোকাটুকি, পছন্দের জায়গায় পোস্টিং এমনকি হোস্টেলের ঘর পাওয়ার জন্যও তার গ্যাং ঘোষ এন্ড কোম্পানিকে টাকা দিতে হয়।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ থেকে কয়েক মাস আগে বদলি হয়ে যাওয়া অধ্যাপক ডাঃ রঞ্জন ভট্টাচার্যের অভিযোগ, অভিক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, সৌরভ পাল এদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের প্রতিষ্ঠা দিবসে কনভোকেশনে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং তারা এসেও ছিলেন। ডাঃ ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, প্রশ্ন ফাঁস এবং গণটোকাটুকি, থ্রেট কালচার সিন্ডিকেটের মাথা এই অভিক দে,বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে কী ভাবে কনভোকেশনের মুখ্য অতিথি করে আনা হল? তাদের যোগ্যতা কি? তারা হাঁটুর বয়সি ছাত্র। এর একটাই উদ্যেশ্য এর মাধ্যমে এটা প্রমাণ করা তারা কতটা প্রভাবশালী। একটা প্রচ্ছন্ন হুমকি দেওয়া তোমরা আমাদের সাথে থাকলে প্রশ্ন ফাঁস,গণটোকাটুকি, পোস্টিং এ সুবিধা হবে।
এই সন্দীপ ঘোষ আসল মাথা নয়। আসল মাথা সামনে আসুক এটাই এখন রাজ্য তথা দেশবাসীর চাওয়া। একটু দেখে নেওয়া যাক সন্দীপের উপরওয়ালার ধাপগুলো,
আর জি কর কান্ডে চিহ্নিত অপরাধী জাকির হোসেন, ডেমকলের তৃণমূল এম এল-এর ছোট ভাই। এই জাকির হোসেন একাধিক বার পরীক্ষায় ফেল করার পরেও মেডিক্যাল অফিসারের পদে আবেদন করে এবং সিলেকশন বোর্ড ঢালাও নম্বর দিলেও ফেল করা ক্যান্ডিডেট হওয়ার জন্য তাকে কোন মতেই চান্স দিতে পারে না।
তবুও মানুষ দেশের সর্বোচ্চ বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা রেখেছেন।