সায়ঙ্ক মন্ডল: চিন্তন নিউজ:৭ই জুলাই:-দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা:-আমফানের ত্রাণ আনতে গিয়ে নদীতে সাঁতার দিতে গিয়ে জলের তোড়ে হারিয়ে গেল একটি জীবন বছর পঞ্চাশের অজয় বারিক বাড়িতে হাঁড়িতে চাল ওঠে না এমন পরিস্থিতিতে সরকারিভাবে কোনরকম এখনো পর্যন্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়নি সেই মতো পরিস্থিতিতে তাদের এখনো পর্যন্ত আরফানের যে ক্ষতিপূরণের টাকা সেটাও দেওয়া হয়নি অথচ দেখা গেছে যে এই আমফান ঝড়ে তারা বিপুল পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর তার উপরেই তাদের পরিবারের একমাত্র সম্বল ও পরিবারের কর্তা তিনি অভাবের তারণায় ত্রাণের জন্য নদীর সাঁতরে ত্রাণ আনতে গিয়ে নদীর স্রোতে ভেসে গেলেন আজ আরএসপি দলের পক্ষ থেকে প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ নস্কর ও কিছু দলীয় কার্যকর্তা দের নিয়ে নিহতের পরিবারের হাতে তুলে দেন খাদ্যসামগ্রী বস্ত্র ও কিছু অর্থ সাথে সাথে নিহতের পরিবারের থাকা একটি বাচ্চা মেয়ের পড়াশুনা যাতে বন্ধ না হয় তার জন্যও ব্যবস্থা করা হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে আমফান পরবর্তী দিনগুলোতে অর্থাভাবে তাদের সংসারে বেশিরভাগ দিনই হাঁড়ি চড়েনি এমতাবস্থায় চৌঠা জুলাই কিছু ত্রাণ সংগ্রহের জন্য নদীতে সাঁতার দিতেও দ্বিধাবোধ করেনি কারণ বাড়িতে অভুক্ত ছেলে-মেয়ে ও তার স্ত্রী তাদের মুখে খাবার জোগানোর জন্য তিনি গোসাবা দুর্গা দুয়ানী নদীতে ঝাঁপ দেন ওপার থেকে ত্রাণ নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু নদীতে প্রচন্ড স্রোত থাকায় জলের তোড়ে ভেসে যান তিনি অবশেষে পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা টিমের লোকজনের অনেক খোঁজাখুঁজির পরে দেহটি পাওয়া যায় নদীর চরে এই অবস্থায় গোসাবা থানার পক্ষ থেকে মৃত ব্যক্তির দেহ সৎকারের জন্য তার পরিবারের হাতে কিছু অর্থ অনুদান সাহায্য করা হয় এই অর্থ অনুদান ছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র একটি পলিথিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এত বড়ো আমফান ঝড়ে তার বাড়িতে ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও সরকারিভাবে আমফান ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার কথা ছিল সেই টাকা থেকেও তাকে বঞ্চিত করা হয় পরিবার সূত্রে আরো বলে যে যে পরিবারের একমাত্র আইয়ের কর্তা ছিলেন তিনি তার মৃত্যুর পর এখনো পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনরূপ খাদ্যসামগ্রী ব্যবস্থা এখনো পর্যন্ত করা হয়নি অবশেষে গ্রামবাসীরা অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ায় এবং তাদেরকে কিছু খাদ্য সামগ্রী সাহায্য করে ।