শাশ্বতী ঘোষাল:চিন্তন নিউজ:৯ই নভেম্বর:–অতিরিক্ত দূষণ যে আজ প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য ভীষণভাবে নষ্ট করে দিচ্ছে এ কথা এখন আর কারো অজানা নয়। দূষণের অন্যান্য নানা কারণের মধ্যে বৃক্ষ নিধন যে একটা বড় কারণ তাও সকলের জানা। আমরা সকলেই এ ব্যাপারে মোটামুটি নাতিদীর্ঘ একটা বক্তব্য পেশ করে ফেলতে পারি এটাও ঠিক। অথচ প্রকৃতি ও পরিবেশ সম্বন্ধে আমরা কিন্তু মোটেই যত্নবান ও দায়িত্বশীল নই। নানান উন্নয়নের নামে গাছ কেটে ফেলা তো একটা নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ জানি যথেচ্ছ গাছ কাটার ফলে বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে কার্বনডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছে আর জন্ম দিচ্ছে নানান ভয়ানক রোগব্যাধির। গাছ যে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রেখে আমাদের জীবন ও স্বাস্থ্য কে সুরক্ষিত রাখে এ কথা কে না জানে? গাছ আমাদের প্রাণের আরাম, মনের শান্তি, সব ক্ষেত্রেই পরিবেশে গাছের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মানুষ প্রকৃতির প্রতি নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্বন্ধে উদাসীন। তবে ব্যতিক্রম ও আছে বইকি। বাঁকুড়া জেলার সারেঙ্গাবাসী শ্যামাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় তেমনই একটি ব্যতিক্রম সৃষ্টি করে আজ গোটা জেলার গর্বের কারণ হয়ে উঠেছেন ।আদর করে ঐ অঞ্চলের মানুষ তাকে গাছদাদু বলে ডাকেন। গাছ দাদু একাই সারা জীবন ধরে বিভিন্ন সরকারী জায়গায় ৫ থেকে ৬ হাজারের বেশী গাছ লাগিয়ে বড় করে তুলেছেন। এমন একটি মহান কাজের জন্য সরকারী সম্বোর্ধনা তো দূরের কথা সরকারী সাহায্য টুকুও তিনি পান নি। অথচ নীরবে বছরের পর বছর ধরে নিরলস পরিশ্রমে তিনি সবুজ পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্যে অবিচল কর্মযজ্ঞে ব্রতী হয়ে আছেন। কত জাঁকজমক পূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কত কিছুই তো প্রচারের আলোয় আসে। অথচ পরিবেশ ও মানব সমাজের এমন শুভানুধ্যায়ী বন্ধুর কথা প্রচারের আলো থেকে অনেক দূরেই থেকে যান। তাঁর নিষ্ঠা, আদর্শ ,অক্লান্ত পরিশ্রম আমাদের প্রেরণা হওয়া উচিত ।গাছ দাদু তোমাকে সেলাম।