মিতা দত্ত:চিন্তন নিউজ:৩০শে জানুয়ারি:– ৩০শে জানুয়ারি ভারতের ইতিহাসের কলঙ্কিত দিন। এই কলঙ্ক লেপন করেছিল তৎকালীন মৌলবাদী দল।
ঔপনিবেশিক শাসনকালে যে মানুযটি প্রথম ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিল।ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে পরপর কয়েকটি আন্দোলন- (অসহযোগ, আইনঅমান্য,ভারতছাড়ো আন্দোলন) যে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন,সেই মানুষটি আক্রান্ত তাদের দ্বারা ,যারা ঔপনিবেশিক শাসনের একমাত্র সমর্থক ।যে মানুষটি সাম্প্রদায়িক বিভেদের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন ,তাঁকেই প্রাণ দিতে হলো নরপিশাচদের হাতে।
তাদেরই উত্তরসূরীদের দাপাদাপি চলছে ভারতবর্ষ জুড়ে। দেশদ্রোহিতা দিয়ে যাদের চলা শুরু, তারা দেশপ্রেমিকতার স্বঘোষিত তকমা লাগিয়ে একদিকে বিভেদ তৈরী করছে, অন্যদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত সম্পদ বিক্রি করে, দেশের টাকা বিদেশে পাঠিয়ে দেশকে ধনেপ্রাণে, মননে শেষ করে দিচ্ছে।
গান্ধীজীর প্রাণ নিয়েছে যারা তারাই আজ গৌরী লঙ্কেশ ,কালবুর্গী,দাভোলকর সহ বহু সাধারণ মানুষকে মারার রক্তে রঞ্জিত।তারাই ভূস্বর্গকে বদ্ধভভূমিতে পরিণত করছে।
গণতন্ত্রকে হাতিয়ার করে গণতন্ত্রের শবযাত্রা প্রতিদিন নানা হুঙ্কারের মধ্য দিয়ে ঘটাচ্ছে। ছাত্র ছাত্রীরা রেহাই পাচ্ছে না তাদের দাঁতনখ থেকে।
কিন্তু ইতিহাস অন্য কথা বলে। তাই একদিকে যেমন আক্রমণ চলছে অন্যদিকে তেমনি মানুষ সংঙ্ঘবদ্ধ হচ্ছে। প্রতিবাদীরা মুষ্ঠিবদ্ধ হচ্ছে।আজকের দিন শপথ নেওয়ার দিন। গণতন্ত্রকে যারা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ক্ষমতাই তাদের দেখাতে হবে।