বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বিস্ময়কর ব্ল্যাক হোল


সফল সেন, চিন্তন নিউজ, ৩ এপ্রিল: এই প্রথম বিরাট বিস্ময়কর ব্লাক হোলের, বলা ভালো event horizon এর ছবি প্রকাশ হতে চলছে – event horizon telescope ছবি তুলেছে ব্লাক হোলের – আগামী ১০ ই এপ্রিল আমেরিকার ওয়াশিং টন ডিসির প্রেস ক্লাবে EHT ( event horizon telescope) প্রকল্প এবং NSF ( national science foundation) যৌথভাবে এই সাংবাদিক সম্মেলন করবে।
event horizon হলো একটা ব্লাক হোলের সীমানা যার পর কোনও কিছুই এমনকি আলোও আর বেরিয়ে আসতে পারেনা।
আইনস্টাইনের থিওরি অফ রিলেটিভিটি বলে ব্লাক হোলের মধ্যে দেশকাল ভেঙে পড়ে – এক অতিকায় ভর শুধু – অসীম তার গ্রাভিটেশন টান, সমস্ত কিছুকে গিলে নেয় – দুমড়ে মুচড়ে দেয় আমাদের চেনা জানা দেশকাল – ফলতঃ কাল নেই – সময় নেই, ঘড়ি কাজ করে না।
কেমন ভর?
একটা ছোট ব্লাক হোল, যা একটা পরমানুর সাইজের কিন্তু ভর একটা পর্বতের – একে বলে primordial ব্লাক হোল।
মাঝারি সাইজের ব্লাক হোলকে বলে stellar ব্লাক হোল যার ভর কেন্দ্রীভূত ১০ মাইল ব্যাসের এক ফুটবলের মধ্যে, ভর হলো সূর্যের ২০ গুন।
আর অতিকায় ব্লাক হোলকে বলে super-massive ব্লাক হোল – এর ভর সূর্যের কয়েক লক্ষ গুন – আয়তন সূর্যের সমান।
কিকরে তৈরী হয় ব্লাক হোল?
একটি তারার যখন বয়স হয়, বুড়ো হয় তখন সে নীল থেকে লাল হয় – তারপর একসময় তার বাইরের অবয়বে বিস্ফোরণ ঘটে, এই অবস্থাকে বলে সুপারনোভা। এরপর তারাটির ভেতরের অবয়ব নিজের গ্রাভিটেশনে কুকড়ে যেতে থাকে, দুমড়ে মুচড়ে যায় সবকিছু – সমস্ত ভরটুকু কেন্দ্রীভূত হতে হতে ছোট্ট জায়গার মধ্যে চলে আসে – সে এক অসীম টান তার থেকে কিছুই রেহাই পায়না, সব কিছু যেমন আছড়ে পড়ে বিলীন হয়ে যায়, তেমনি নিজেরও সমস্তকিছু দুমড়ে মুচড়ে একটা কেন্দ্রে অসীম ভরে পরিণত হয় – আলোকেও খেয়ে নেয়, ফলে আর তাকে দেখাও যায় না – পড়ে থাকে শুধু এক নিঃসীম অন্ধকার আর কেন্দ্রীভূত অতিকায় ভর – এর সীমানা হলো event horizon – এর ছবিই প্রকাশিত হতে চলেছে আগামী ১০ ই এপ্রিল – গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।


One Reply to “বিস্ময়কর ব্ল্যাক হোল

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।